সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বসন্ত মানেই দোল উৎসব। রঙের বাহার। আর খানাপিনা ছাড়া বাঙালির বসন্ত উৎসব বৃথা! তাই আগেভাগেই প্ল্যান করে নিন দোলের কম্বো ডিশ। কী রাঁধবেন, ভেবে পাচ্ছেন না? রইল হদিশ। বাসন্তী পোলাওয়ের সঙ্গে বানিয়ে নিন মাটন রোগান জোশ। চেটেপুটো পাত হবে সাফ। রইল সহজ রেসিপি।
বাসন্তী পোলাও
উপকরণ
চাল, কাজু বাদাম, কিসমিস, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা, গুঁড়ো গরম মশলা, হলুদ গুঁড়ো, আদা, চিনি, ঘি, সাদা তেল
প্রণালী
পরিমাণ মতো চাল নিয়ে ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিন। তারপর ঘি আর হলুদ দিয়ে চালটাকে ভাল করে মেখে আধ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। কড়াইতে ঘি দিয়ে কাজু আর কিসমিস হালকা করে ভেজে নিন। ভাজা কিসমিস আর কাজু তুলে একপাশে সরিয়ে রাখুন। পাত্রে আরও একটু তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ আর দারচিনি দিয়ে দিন। আদা বাটা দিয়ে হালকা ভাজুন। তারপর চাল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। চাইলে ৩-৪ ফোটা গোলাপ জলও দিতে পারেন। এবার যত কাপ চাল নিয়েছেন ঠিক তার ডাবল কাপ জল আন্দাজমতো পাত্রে দিয়ে নুন আর চিনি দিয়ে দিন। ভাজা কাজু আর কিসমিসগুলো দিন। জল শুকিয়ে আসার পর চাল ভাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা দেখে নিন। এবার নুন-চিনি চেখে ঘি আর গুঁড়ো গরম মশলা ছড়িয়ে মিশিয়ে দেবেন। ব্যস, আপনার বাসন্তী পোলাও তৈরি।
[আরও পড়ুন: ‘চিয়ার্স’ টু বসন্ত! ঠান্ডাই-শরবৎ না হলে দোল কীসের? রইল রকমারি রেসিপি]
মাটন রোগান জোশ
উপকরণ
মাটন ১ কেজি, সরষের তেল ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটার, তেজপাতা ১টা, ছোট এলাচ ৪-৫টা, বড় এলাচ ২টো, লবঙ্গ ৭-৮টা, গোটা দারচিনি টুকরো ২টো মতো, আদা-রসুন বাটা ২ চা-চামচ, রতনজোত ৪-৫টো, দই ১০০ গ্রাম, ঘি ২০০ গ্রাম, ধনে গুঁড়ো ২ চা-চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চা-চামচ, আদা গুঁড়ো ২ চা-চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ৩ চা-চামচ, হিং গুঁড়ো ২ চা-চামচ, গরম মশলা।
প্রণালী
ম্যারিনেট করতে মাংসের সঙ্গে ১০০ গ্রাম টক দই, ১ চা-চামচ গরম মশলা ও আধ চা-চামচ নুন মিশিয়ে ৫ ঘণ্টা রেখে দিন। আলাদা পাত্রে বাকি ১০০ গ্রাম দইয়ের সঙ্গে প্রতিটা গুঁড়ো তথা ধনে-জিরে-আদা-লঙ্কা মিশিয়ে নিন। সঙ্গে মেশান হিং-ও। প্রেশার কুকারে সরষের তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ফেলে নাড়তে থাকুন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে ম্যারিনেট করা মাংস ঢেলে দিন। কষিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না দই থেকে জল বেরিয়ে এসে শুকনো শুকনো হয়ে আসছে। হয়ে এলে পরে দইয়ের মিশ্রণটুকু ঢেলে নাড়তে থাকুন। দুটো বিষয় ভাল করে মিশে গেলে প্রেশার কুকার আটকে বেশি আঁচে চার থেকে পাঁচটা মতো সিটি দিতে হবে। এরপর গ্যাস কম আঁচ করে আরও একটি সিটি পড়বে। মাংস নরম হয়ে এলে এক পাত্রে ঘি গরম করে তাতে রতনজোত ফেলে রং বদলানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ঘি মোটামুটি মরচে লাল রঙা হয়ে এলে ইতিমধ্যেই তৈরি হওয়া মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।