সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘরের ভিতরে জুতো পরার অভ্যাস অনেকেরই আছে। মেঝেতে পা দিলেই যেন তাঁদের অস্বস্তি হয়। জুতো পরেই সারা বাড়িতে হাঁটাচলা করেন। বাথরুমেও চলে যান। কিন্তু গেরস্থালির সব জায়গায় জুতো বা চপ্পল পরে যাওয়া উচিত নয়। এমনই মত বাস্ত বিশেষজ্ঞদের। যেমন -
ভাঁড়ার ঘর: বাড়ির এই অংশে সংসারের যাবতীয় সঞ্চয় থাকে। তাই এখানে কখনই জুতো বা চপ্পল পরে ঢুকবেন না। এতে গৃহদেবতা অসন্তুষ্ট হন। সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয় বলেই মনে করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
সিন্দুক বা টাকা রাখার ভল্ট: সিন্দুক বা ভল্টের মধ্যে আপনার সংসারের যাবতীয় ধন-সম্পত্তি থাকে। কখনই জুতো বা চপ্পল পরে তা থেকে কিছু নেবেন না বা রাখবেন না। এতে লক্ষ্মী দেবী অসন্তুষ্ট হন এবং গৃহ ত্যাগ করেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ভক্তি থাকলে তবেই সমৃদ্ধি থাকবে বলে মনে করা হয়।
[আরও পড়ুন: বর্ষায় ত্বকের যত্ন নিন, ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই টিপসগুলো]
রান্নাঘর: বাড়ির এই অংশে অন্নপূর্ণার বাস। সেই কারণেই নতুন বউ বাড়িতে এলে হেঁশেলে একবার তাঁকে ঢুকতেই হয়। নিয়ম মেনে শ্বশুরবাড়ির জন্য কিছু না কিছু খাবার তৈরি করতে হয়। জুতো বা চপ্পল পরে বাড়ির এই অংশে ঢুকলে অন্নের দেবীকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
মন্দির বা ঠাকুরের স্থান: প্রার্থনার জায়গা বলুন বা ইবাদতের স্থান, তা সবসময় পবিত্র হয়। তাই সেখানে জুতো বা চপ্পল পরে এক্কেবারেই যাওয়া উচিত নয়। মনের সমস্ত দ্বিধা, দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রেখে এক মনে ধ্যান করুন। কঠিন সময়ে আর কিছু হোক না হোক, মনে কিছুটা শান্তি পাবেন। জোর পাবেন। আর পাবেন লড়াইয়ের শক্তি। বিশ্বাসেই তো মেলায় বস্তু, তাইনা! অবশ্য বিশ্বাস-অবিশ্বাস দুই-ই ব্যক্তিগত বিষয়।