বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল এবং ডিসিপি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) দুই কর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।
জুন মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়ে অভিযোগ করেন, একজন সরকারি চাকুরের যেভাবে কাজ করা উচিত, তা করছেন না কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং সেন্ট্রাল ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। তাঁর অভিযোগ, গুজব ছড়ানো, প্ররোচনায় মদত দেওয়ার মতো কাজ করছে পুলিশ। রাজ্যপালের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিনীত গোয়েল এবং ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: নাচেই জগন্নাথ বন্দনা ডোনার, ইন্দ্রাণী হালদারের ভোগে থাকে রকমারি পদ]
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মূল অভিযোগ, পুলিশের কার্যকলাপে রাজভবনের গরিমা নষ্ট হচ্ছে। রাজভবনে সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের ঢোকা-বেরনো নিয়েও দখলদারি করছে পুলিশ। আসলে গত ১৩ জুন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের পরিবারের ৪০০ জন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যাচ্ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করাই ছিল শুভেন্দুদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। মূলত সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করেছেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: হার্দিক-নাতাশার বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর! অভিনেত্রীর ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে (Home Ministry) এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের অভিযোগ, আইপিএস আধিকারিকরা তাঁদের কাজকর্মের মাধ্যমে রাজ্যপালের কার্যালয়ের গৌরব নষ্ট করেছেন। তাঁরা সরকারি চাকুরের মতো আচরণ করেননি। নিজেদের সুবিধামতো নিয়মকানুনকে অবহেলা করেছেন। রাজ্যপালের সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদিও এ প্রসঙ্গে বিনীত গোয়েলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেছেন, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের কথা তিনি জানেন না। কেন্দ্র হয়তো রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একই দাবি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়েরও।