সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নজিরবিহীনভাবে হুক্কা-বার পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়ে গেল কংগ্রেসশাসিত পাঞ্জাবে। রাজ্য সরকার গত মার্চ মাসেই রাজ্যে হুক্কা-বার নিষিদ্ধ করার জন্য বিল পাশ করিয়েছিল। এবার সেই বিলে সম্মতি মিলল রাষ্ট্রপতির। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের রাজ্যে আর কোথাও হুক্কা-বারের দেখা মিলবে না। এই নিয়ে ভারতের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে হুক্কা-বার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল পাঞ্জাব। এর আগে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট সরকার হুক্কা-বার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
[নমাজ পড়ায় ‘অপবিত্র’ তাজমহল, শুদ্ধ করতে পুজো বজরং দলের]
আসলে ভোটের আগে থেকেই ক্ষমতায় এলে রাজ্যকে ড্রাগস মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সেইলক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হলেও বাস্তব ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। সরাসরি ড্রাগসের সরবরাহ বন্ধ করা গেলেও বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং হুক্কা বারগুলিতে অবাধেই চলছিল মারণ নেশা। যা বন্ধ করার লক্ষ্যেই হুক্কা-বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। যদিও, সরকারিভাবে হুক্কা-বার বন্ধ করার পিছনে দেখানো হয়েছে অন্য কারণ। পাঞ্জাব সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানাচ্ছেন, হুক্কা একই সঙ্গে স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ক্ষতি করছে। আমাদের যুবসমাজের জন্য তামাকের নেশার এই প্রবণতা বিপজ্জনক। নেশামুক্ত পাঞ্জাব গড়ার লক্ষ্যে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
[ক্ষমতায় থেকেও মন্দির নির্মাণে ব্যর্থ, মোদি-যোগীকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার]
চিকিৎসকরা বলছেন, সিগারেট বা বিড়ির মতোই হুক্কা স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। তামাকের নিকোটিন সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে হুক্কার মাধ্যমে। তাছাড়া এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবেশ। এদিকে, পাঞ্জাবের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রবণতা হুক্কা-বারের আড়ালে ড্রাগসের ব্যবসা। পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, হুক্কা-বার গুলো ড্রাগের আড্ডা হয়ে গিয়েছে। এই ধরণের ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টের মালিকরা সবরকম ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ড্রাগ নেওয়ার মতো পরিবেশও তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।” স্বাভাবিকভাবেই হুক্কা-বার বন্ধ হলে কিছুটা হলেও ড্রাগসের প্রকোপ কমবে বলে আশা সরকারের।
The post নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত, হুক্কা-বার পুরোপুরি নিষিদ্ধ হল পাঞ্জাবে appeared first on Sangbad Pratidin.