বাবুল হক, মালদহ: দিনকয়েক আগে পানাগড়ে বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে তাঁদের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তারই মাঝে মালদহে দুই সন্তান-সহ বধূর রহস্যমৃত্যু। খুন বলেই দাবি তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের।
আট বছর আগে মালদহের রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়লাপাথার গ্রামের বাসিন্দা লোকমান আলির সঙ্গে বিয়ে হয় মালদহের মানিকচক থানার ধরমপুরের জেলেখা বিবির। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে মরিয়ম খাতুন ছবছর বসয়ি এবং ছেলে বছর চারেকের মহম্মদ নবি। বধূর বাপের বাড়ির দাবি, তাঁদের কাছে খবর যায় মেয়ে এবং দুই নাতি-নাতনির বাড়ি সংলগ্ন জলাশয় থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই তিনজনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করেন জেলেখার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।
[আরও পড়ুন: ‘আর বাঁচব না’, ইডি হেফাজতে মৃত্যুভয় তাড়া করছে জ্যোতিপ্রিয়কে!]
তবে সে দাবি মানতে নারাজ জেলেখার বাপের বাড়ির লোকজন। মেয়ে এবং দুই নাতি-নাতনিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলেই অভিযোগ। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, শনিবার সন্ধ্যার পর জলাশয়ের ধারে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে বধূকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। কেন সন্ধ্যায় জলাশয়ে পাশে ঘোরাফেরা করছেন তিনি, সে প্রশ্নও নাকি করা হয়। তবে বধূর কাছ থেকে যথাযথ উত্তর মেলেনি বলেই দাবি স্থানীয়দের। রতুয়া থানার পুলিশ তিনজনের দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নেমেছে। খুন করা হয়েছে নাকি দুই সন্তান নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।