সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ক্রিকেটের কিংবদন্তি। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও শচীন তেণ্ডুলকরের বেশ আগ্রহ। কিন্তু প্রথমবার চিনা খাবার খেতে গিয়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল মাস্টার ব্লাস্টারের। বন্ধুদের বদমায়েশির জন্য শেষপর্যন্ত তৃষ্ণার্ত এবং ক্ষুধার্ত অবস্থাতেই তাঁকে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। সম্প্রতি একটি বইতে এমনই সব অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন ক্রিকেটের ইশ্বর।
[টেস্ট ক্রিকেট থেকে কবে বিদায় নেবেন, জানিয়ে দিলেন অশ্বিন]
ছেলেবেলা থেকে মা রজনী তেণ্ডুলকরের রান্নার ভক্ত ছিলেন শচীন। শচীনের যখন ৯ বছর বয়স তখন মুম্বইতে চিনা খাবার বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। একবার বাড়িতে বিদেশি খাবার রাঁধার চেষ্টাও করেছিলেন শচীন। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। চিনা খাবারের লোভে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তরাঁয় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শচীন। এর জন্য প্রত্যেকে ১০ টাকা করে চাঁদাও দিয়েছিলেন। ৮-এর দশকে ১০ টাকা নেহাত কম নয়। শচীনরা ভেবেছিলেন ভাল চাঁদা যখন উঠেছে তখন ভাল-মন্দ খেতে গিয়ে আর পয়সার চিন্তা করতে হবে না। চিনা খাবারের জন্য উত্তেজিত ছিলেন বালক শচীন। এক সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিল নির্দিষ্ট রেস্তরাঁয়। পুরনো কথা বলতে গিয়ে শচীন বলেন, ‘‘রেস্তরাঁয় স্টার্টার হিসাবে চিকেন এবং সুইট কর্নের অর্ডার দিয়েছিলাম। আমরা বসেছিলাম একটা বড় টেবিলে। আমি ছিলাম সবার শেষে। যখন আমার কাছে স্যুপ আসে তখন আর কিছুই আর বেঁচে নেই। আমাদের গ্রুপে যারা বড় ছিল তারাই ততক্ষণে প্রায় পুরোটাই শেষ করে ফেলেছে। ছোটদের জন্য সামান্য রেখেছিল।’’ তবে দুর্ভোগের এখানেই শেষ ছিল না। শচীনের সংযোজন, ‘‘যখন ফ্রায়েড রাইস এবং চাউমিন এল তখনও একই ঘটনা ঘটল। আমি প্রতিটি খাবার মাত্র দু’চামচ করে পাই। যারা আমাদের থেকে বড় তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলল, আর আমরা ছোটরা পেটে ক্ষিদে নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’’
[ব্রাজিল বনাম জার্মানি, যুবভারতী কি পারবে বেলো হরাইজন্তের অভিশাপ ঘোচাতে?]
শচীনের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ থেকে অনুপ্রাণিত ‘চেজ ইওর ড্রিমস’ বইতে কিংবদন্তির ছেলেবেলার এমন অনেক ঘটনা ফিরে এসেছে। ছোটদের জন্য ভারতের কোনও ক্রীড়াব্যক্তিত্বের আত্মজীবনীর সংস্করণ এই প্রথম। পূর্ব বান্দ্রার সাহিত্য সহবাস কলোনিতে সচ থেকে শচীন হওয়ার উত্তরণের কথা উঠে এসেছে এই বইতে। শচীন জানিয়েছেন, বাড়িতে মায়ের হাতে করা চিংড়ির ঝোল, বেগুন ভর্তা, বরান ভাতের সেই অকৃত্রিম স্বাদের কথা। খাবারের পাশাপাশি শচীন জানাতে ভোলেননি তাঁর জীবনে বাবার অবদানের কখা। শচীনের তখন ১১ বছর। ছোট্ট শচীনকে তখন বাবা রমেশ তেণ্ডুলকর জানিয়েছিলেন স্বপ্নপূরণ কর, তবে কোনওভাবে শর্টকাট রাস্তা নেবে না। এই মন্ত্রই শচীনের জীবনের সবথেকে বড় শক্তি।
The post বন্ধুদের সঙ্গে চিনা খাবার খেতে গিয়ে কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল শচীনের? appeared first on Sangbad Pratidin.