সুব্রত বিশ্বাস: গত বছরের জুনে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয় মালগাড়ি। তাতেও হয়েছিল প্রাণহানি। ঠিক বছরখানেক পর সেই ভয়াবহ স্মৃতিরই যেন পুনরাবৃত্তি। আবারও দূরপাল্লার ট্রেনে ধাক্কা মালগাড়ির। কী কারণে ফের একই লাইনে চলে এল মালগাড়ি এবং দূরপাল্লার ট্রেন, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দুর্ঘটনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান জয়া বর্মা সিনহা। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যান মালগাড়ির চালক। সে কারণেই অত্যন্ত ধীরগতিতে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে মালগাড়িটি। তার ফলে দুটি কামরা মালগাড়ির উপরে উঠে পড়ে। যে দুটি কামরায় ধাক্কা লাগে সেগুলি পার্সেল ভ্যান। খেলনা গাড়ির মতো কামরা দুটি দুমড়ে মুচড়ে যায় ঠিকই। তবে পার্সেল ভ্যান হওয়ায় প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে খানিকটা কম হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কী কারণে সিগন্যাল ভেঙে একই ট্র্যাকে মালগাড়ি তুলে দিলেন চালক, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বলে রাখা ভালো, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ৮ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালগাড়ির চালকও। জখম হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী, একই বিমানে সফরের সম্ভাবনা]
গতবার বাহানাগায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিলের সময়ও রেলমন্ত্রী ছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেল দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। 'কবচ', অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম চালুর কথা ছিল। তবে এখনও উত্তর পূর্বের এমন গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনে সে এই সমস্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ছিল না, তা স্পষ্ট। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের যাত্রীদের মতে, বাহানাগার ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে এতটুকু শিক্ষা নেয়নি রেল। যদি শিক্ষা নিত, তবে এমন ঘটনা আর ঘটত না বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।