সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দইয়ে (Curd) পুষ্টিগুণ সকলেরই জানা। যারা মেদ ঝরাতে ডায়েটিং করছেন তাদের রোজকার পাতে তো দই অপিহার্য। কিন্তু এখন তো বর্ষাকাল, শ্রাবণ মাস। বাড়ির বয়স্ক সদস্য, দিদিমা-ঠাকুমারা বলেন শ্রাবণ মাসে বা বর্ষাকালে দই খেতে নেই। সত্যি কি তাই? কী বলছে আয়ুর্বেদ?
[আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে জ্যাকপট! জালে উঠে এল ২৮ কোটির ‘সম্পদ’]
দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন। পুষ্টিগুণও বেশ বেশি। কিন্তু বর্ষাকালে দই খাওয়া নিয়ে মতান্তর রয়েছে। আয়ুর্বেদ বলছে, শ্রাবণ মাসে দই খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, ভরা বর্ষায় পিত্ত, বাত এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ে। আর দইয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য দেহের ছিদ্রপথগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় দই খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়ার আশঙ্কাও থাকে। যেমন-গলাব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হজমের সমস্যা হতে পারে। যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সময় দই খেতে নিষেধ করেন পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা। যদিও আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র এই তত্ত্বে বিশ্বাস করে না। বর্ষায় হজমের সমস্যা হয়। দই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
চিকিৎসকরা বলছে, দই স্বাস্থ্যকর খাদ্য। কিন্তু সব খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া চলে না। দইয়ের ভুল সঙ্গী নির্বাচনের ফলে উপকারের চেয়ে অপকার হয় বেশি। তাই দই খাওয়ার সঠিক উপায় জেনে নেওয়া প্রয়োজন। জানেন কীভাবে খাবেন দই?
[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল স্ত্রীর, কী করলেন যুবক?]
পুষ্টিবিদরা বলছেন, বর্ষাকালে দই খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। শুকনো খোলায় ভেজে নেওয়া জিরে গুঁড়ো, গোলমরিচ এবং বিট নুন দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। পরে আরও কিছুটা নুন মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে দই। এই মিশ্রণ একদিকে যেমন ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সক্ষম, তেমনই হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। ঝটপট সারিয়ে ফেলে গলা ধরার সমস্যাও। তবে বর্ষাকালে অনেকদিনের পুরনো দইয়ের চেয়ে তাজা দই খাওয়াই উপযুক্ত। দইয়ের সঙ্গে বাদাম, ড্রাই ফ্রুটস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।