সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট কান্ডারি। কমবেশি তাঁর পরামর্শেই চলছে এরাজ্যের শাসকদল। সেই প্রশান্ত কিশোরই তৃণমূলকে একপ্রকার বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন। দলের লাইনের উলটোপথে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম ‘হাউডি মোদি’র প্রশংসা শোনা গেল প্রশান্তের গলায়। তৃণমূলের নির্বাচন কৌশুলী বললেন, হাউডি মোদি খুব কৌশলগত একটা পদক্ষেপ। এতে ভারত সুবিধা পাবে বলেই ইঙ্গিত তাঁর।
[আরও পড়ুন: বায়ুসেনার শক্তি বাড়াতে আরও ৩৬টি রাফালে যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত!]
আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের যেমনই হোক, মার্কিন মুলুকের অভ্যন্তরের রাজনীতিতে কখনও হস্তক্ষেপ করেনি নয়াদিল্লি। আমেরিকায় ডেমক্র্যাট বা রিপাবলিকান যারাই ক্ষমতায় থাক তাদের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে ভারত। সম্ভবত এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী কোনও একটি দলের হয়ে ভোটপ্রার্থনা করলেন। ‘হাউডি মোদির’ মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার। ‘ অর্থাৎ নিয়ম ভেঙে একটি দলের হয়ে একপ্রকার প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির এই পদক্ষেপকে কৌশলী বলে বর্ণনা করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলছেন,”খুব কৌশলগত এবং পরিকল্পিত পদক্ষেপ। আমেরিকার ভোটের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ বিপত্তিতে আছেন। এই পরিস্থিতিতে মোদি যে কৌশলে তাঁর দুর্বলতার সুযোগ নিলেন তা বেশ স্মার্ট। আমাদের একটা সুবিধা আছে। আমরা সংখ্যায় বেশি। আর গণতন্ত্রে সংখ্যাটা খুব জরুরি।”
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর নিয়ে রাজনীতি করছেন রাহুল, বিজেপি দেশপ্রেম’, কটাক্ষ অমিত শাহর ]
তৃণমূলের পরামর্শদাতা হওয়ার পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোরের একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের সহ-সভাপতি। বিহারে নীতীশের জেডি(ইউ) আবার বিজেপিরই জোটসঙ্গী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশান্তের মুখে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু, মুশকিল হল প্রশান্তের এই বক্তব্যে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়বে তৃণমূল। এরাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক সচেতন মানুষই এখন প্রশান্তের নাম জানেন। তাঁরা এও জানেন এখন রাজ্যের শাসকদল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি প্রশান্তের ইশারতেও চলছে। এ হেন ব্যক্তি মোদির প্রশংসা করায় তৃণমূলস্তরে কর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে আশঙ্কা শাসকদলের অন্দরেই।
The post অভূতপূর্ব কৌশল! ‘হাউডি মোদি’র প্রশংসায় প্রশান্ত কিশোর appeared first on Sangbad Pratidin.