অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: রাতে পানশালায় বসে মদ্যপান। তার পর টাকাপয়সা মেটানো নিয়ে বাকবিতণ্ডা থেকে ব্যাপক ঝামেলা। এমনকী ম্যানেজারকেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে। রবিবার রাতের এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পানশালা কর্তৃপক্ষের এফআইআরের ভিত্তিতে তিন পুলিশকর্মীকে গ্রেপ্তার করল সাঁকরাইল থানা। সোমবার আদালতে পেশ করলে অবশ্য তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই ডোমজুড় থানার পুলিশ কর্মী। ধৃতরা পুলিশ কনস্টেবল পাঞ্জাব মণ্ডল, অস্থায়ী হোম গার্ড বিজয় পাল ও সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম কোঙার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিনজনই রবিবার গভীর রাতে ওই পানশালার দোতলায় সাদা পোশাকে বসে মদ্যপান করছিলেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের পর পানশালার ম্যানেজারের সঙ্গে টাকাপয়সা দেওয়া নিয়ে ব্যাপক গন্ডগোল করে ৩ জন। এমনকী ম্যানেজার ও কর্মীদের মারধর করার অভিযোগও ওঠে।
পানশালার ভিতর পুলিশ কর্মীরা মদ্যপান করে গন্ডগোল করছে, এই খবর চলে যায় সাঁকরাইল থানায়। খবর পেয়েই গভীর রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। ৩ পুলিশ কর্মীকে থানায় আটক করে নিয়ে যায় তারা। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই তিন ব্যক্তির পেশা কী, তা আমরা দেখতে চাই না। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের আইন অনুযায়ী ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হবে। আর পাঁচজন নাগরিকের এ ধরনের অপরাধের জন্য আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়া হয় ওদের বিরুদ্ধেও তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ এই প্রসঙ্গে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘ওই তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে আইনের নির্দিষ্ট ধারায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’