সুব্রত বিশ্বাস: বাহান্ন বছরেই চলে গেলেন হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা। কিছুদিন আগে লিভারের সমস্যা নিয়ে তিনি বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। দিন তিনেক আগে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু শরীর সেই অঙ্গ গ্রহণ না করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগের ‘শাস্তি’, কৃষককে চাষের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে]
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। এখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। জানা যায়, লিভারে গুরুতর সমস্যা রয়েছে তাঁর। তারপর ডাক্তারদের পরামর্শ মতে স্বামীকে বাঁচাতে নিজের লিভারের কিছু অংশ দিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা শেষ করা সম্ভব হল না। অঙ্গদানের ফলে সঞ্জয়বাবুর স্ত্রীও এখন অসুস্থ। সঞ্জয়বাবুর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই রেলের আধিকারিকরা হাসপাতালে চলে আসেন। প্রিয় সহকর্মী অকালে চলে যাওয়ায় আঘাত পেয়েছেন তাঁরাও।
সঞ্জয়বাবু ৭ ডিসেম্বর হাওড়ার ডিআরএম এর দায়িত্ব নেন। দিল্লির নীতি আয়োগ থেকে তিনি এই পদে যোগ দিয়েছিলেন। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে তিনি ১৯৮৯ সালে ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে যোগ দেন। কলকাতা রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয়বাবু রেলে বাঙালিবাবু বলেই পরিচিত ছিলেন। হাওড়ার ডিআরএম পদে যোগ দিয়ে তিনি পরিষেবা উন্নয়ণের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, বাংলার রেল ব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা বাড়িয়ে তুলতে সব চেষ্টা করতে হবে। হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার পরিকল্পনা খুব শিগগির কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। স্টেশন চত্বর ও যানবাহন যাতায়াতে নানা পরিবর্তন এনে হাওড়াকে নতুনভাবে তুলে ধরতে নানা পদক্ষেপ করেছিলেন। যা তাঁর মৃত্যুতে অনেকটাই বাধা প্রাপ্ত হল বলে মনে করেছেন রেলের আধিকারিকরা।