সুব্রত বিশ্বাস: ‘মঙ্গলে ঊষা বুধে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা।’ এই বচনে আস্থা রেখে ২৩৪ দিন বাদে করোনা আবহে বুধবার বা কাল সাধারণ যাত্রীদের জন্য লোকাল ট্রেনের (Local Train) চাকা গড়াবে। শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪১৩টি ট্রেন চললেও মঙ্গলবার হাওড়া ডিভিশনে আরও ১০৯টি ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। যা কাল থেকেই বিভিন্ন শাখায় চলা শুরু করেছে। ওই ডিভিশনে মোট ৩১১টি ট্রেন চলাচল শুরু করবে। মঙ্গলবার দুই ডিভিশনের বেশ কয়েকটি স্টেশনের পরিস্থিতি খাতিয়ে দেখেন ডিআরএম। মূলত প্রবেশ ও নির্গমন ব্যবস্থা কিভাবে হচ্ছে, কর্মীরা কিভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন তা দেখতে এদিন হাওড়া, শিয়ালদহ ও মাঝেরহাট যান।
[আরও পড়ুন: একুশে বাংলার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? বিহার ভোটের ফলাফলের দিন তরজায় মাতলেন সুব্রত-দিলীপ]
রাজ্যের আবেদনে ট্রেনের সংখ্যা একলাফে অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্য পুলিশ ও আরপিএফ এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়, থার্মাল স্ক্যানারে যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া গেলে তাঁকে ফাঁকা ঘরে বসানো হবে। এরপর রাজ্যের তরফে রাখা অ্যাম্বুল্যান্স করে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ আগেই জারি করেছে রেল ও রাজ্য। মাস্ক ব্যাবহার, সানিটাইজার ব্যবহার ও দূরত্ব মানতে হবে। রেলের তরফে এড্রেস সিস্টেমে ঘোষনা, বিধি নিষেধের পোস্টার ট্রেন থেকে স্টেশনের লাগানো হয়েছে। অডিও ভিসুয়ালে সতর্ক করা হচ্ছে। বুধবার প্রথম সাধারণ যাত্রীদের জন্য ট্রেন চলছে। ভোর ৩.৫৪ মিনিটে প্রথম ডায়মন্ড হারবার লোকাল শিয়ালদহ ছাড়বে। হাওড়া থেকে ভোর চারটার সময় ব্যান্ডেল ও দশ মিনিট বাদে বর্ধমান মেন ও কর্ড ছাড়বে। ২৩৪ দিন বাদে প্রথম সাধারণ যাত্রীদের জন্য এই গণ পরিবহন চালুর মুহূর্তে সাক্ষী থাকতে চান রেলকর্মীরা। এজন্য রাতেই আরপিএফ ও জিআরপি ও ফ্রণ্টলাইন কর্মীদের স্টেশনগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে।
করোনা আবহে দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) জারি হওয়ার আগে ২২ মার্চ ‘জনতা কারফিউ’ এর দিন থেকে বন্ধ ট্রেন পরিষেবা। ফলে বিপাকে পড়তে হয় বহু মানুষকে। এহএহন পরিস্থিতিতে আনলক পর্বে জন সাধারণের দাবি মেনে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে চলেছে রেল। একইসঙ্গে যাত্রীদের স্বস্তি দিয়ে রেল জানায়, যে সময় ট্রেন বন্ধ ছিল, সেই সময়টা মান্থলির মেয়াদে ধরা হবে না। বুধবার থেকে ট্রেন চালু হলে, সংশ্লিষ্ট সিজন টিকিটের মেয়াদ যোগ করে তা বাড়িয়ে দেওয়া হবে।