রাজা দাস, বালুরঘাট: চলছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam)। এর মধ্যে রক্তদান ছাত্রীর। ৮৩ বারের রক্তদাতা বাবাকে দেখেই উদ্বুদ্ধ বালুরঘাটের মেয়ে। তাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই স্বেচ্ছায় রক্তদানের (Blood Donation) সিদ্ধান্ত।
বালুরঘাট (Balurghat) শহরের সরকারি আবাসনের বাসিন্দা ভূমিকা সাহা জীবনের প্রথম রক্তদানের ইচ্ছেটা ছিল মাধ্যমিক দেওয়ার পরেই। কিন্ত বাঁধ সেধেছিল বয়স। ১৮ বছরে পা দিতেই হল ইচ্ছেপূরণ। সমস্তকিছুর নেপথ্যে পেশায় দমকলকর্মী বাবা প্রদীপ সাহা। দু-চারবার নয়, এক্কেবারে ৮৩ বারের রক্তদাতা প্রদীপবাবু। বালুরঘাট ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক (HS) পরীক্ষা দিচ্ছে তাঁর মেয়ে ভূমিকা। বুধবার আঠারোয় পা দিলেন।
জন্মদিনেই প্রথমবার রক্তদানের মত মহৎ কাজ করতে চাইতেই মেয়ের পাশে দাঁড়ান প্রদীপবাবু। এরপরই দিশা ফাউন্ডেশন নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় বালুরঘাট সদর হাসপাতালের ব্ল্যাডব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন ভূমিকা। তাঁর এমন প্রয়াসে উদ্বুদ্ধ হয়েছে তার সহপাঠী এবং অন্যান্যদের।
[আরও পড়ুন: দুধের ছেলেকে নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন, তিনমাস পর সেই বধূ ঘরে ফিরলেও ফিরল না শিশু]
ভূমিকার কথায়, “ছোট থেকে দেখে এসেছি রক্তদান নিয়ে বাবার আবেগ। কীভাবে তিনি মানুষের প্রয়োজনে ছুটে যান। ধীরে ধীরে আমারও ইচ্ছা জাগে এই মহৎ কাজে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পরই আমি রক্ত দিতে চেয়েছিলাম। কিন্ত সেসময় প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় আমার রক্ত নিতে চায়নি সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এই মহৎ দানে যাতে অন্য ছাত্রছাত্রী ও যুব সমাজ উদ্বুদ্ধ হয় এই কামনা করি। রক্তদানের কাজে নিয়মিত নিয়োজিত থাকব এই অঙ্গীকার করেছি।”
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ‘ব্ল্যাডম্যান’ হিসেবে পরিচিত ভূমিকার বাবা প্রদীপ সাহা বলেন, “রক্তদানের ইচ্ছেটা সম্পূর্ণ আমার মেয়ের। এই বয়সে প্রথমবার রক্ত দিতে তার মধ্যে কোনো ভীতি কাজ করেনি। এভাবে মানুষের জন্য সে এগিয়ে যাক এটাই কামনা আমাদের।”