সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দা চলছিল ব্যবসায়। আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন পাঞ্জাবের (Punjab) বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তা থেকে উদ্ধার পেতে ‘গুরু’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই গুরুর পরামর্শেই প্রতিবেশী ন’বছরের বালিকাকে ‘বলি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। খোঁজ চলছে গুরুর।
ঘটনাটি পঞ্জাবের অমৃতসরের। নিহত নাবালিকার নাম সুখমনদীপ কউর। গত ১১ জুলাই ঘটনাটি ঘটে অমৃতসরের মুধাল গ্রামে। হঠাৎই নিখোঁজ হয় নাবালিকা। পরিবারের লোকেরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুজেট খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তখনই বোঝা যায় গ্রামের বাইরে যায়নি নাবালিকা। এর পর স্নিফার ডগ নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিজেপি বিরোধী মঞ্চের ‘নেতৃত্ব’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতার প্রস্তাবেই জোটের নাম INDIA]
তাতেই রক্তের দাগ মেলে সুখমনদীপের বাড়ির পাশের বাড়িতে। যে বাড়ির মালিক দলবীর সিং। এর পর ১৩ জুলাই দলবীর সিংয়ের বাড়ির পিছনে, হীরা সিংয়ের বাড়ির কাছ থেকে এক নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। দলবীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। নাবালিকাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন দলবীর। জানান, আর্থিক অবস্থা ভাল যাচ্ছিল না। ভাগ্য ফেরাতেই গুরুর পরামর্শে নাবালিকাকে দেবতাকে উৎসর্গ করেছিলেন। পুলিশ দলবীর, তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং ছেলের বউকে গ্রেপ্তার করেছে। যে গুরুর পরামর্শে হত্যাকাণ্ড চলে, তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।