সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধ্বীর ব্যাগে মানুষের খুলি। সেই নিয়েই তিনি চড়তে গিয়েছিলেন প্লেনে। আর এই ঘটনাতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দোরের (Indore) আহিল্যবাঈ হোলকার এয়ারপোর্টে। তবে শুধু মানুষের খুলি নয়, সঙ্গে ছিল হাড়ও।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উজ্জ্বয়নের বাসিন্দা সাধ্বী যোগমাতা সচদেব ভিস্তারা বিমানসংস্থার বিমানে দিল্লি যাওয়ার টিকিট কেটেছিলেন। মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ স্ক্যানারে পরীক্ষার সময়ই অবাক হয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। দেখা যায়, তাঁর ব্যাগে খুলি এবং হাড়গোড় রয়েছে। এরপরই তাঁকে আটক করা হয়।
[আরও পড়ুন: এবার কি গোবলয়ের রাজনীতিতে পা রাখছে তৃণমূল? পিকে-অভিষেক বৈঠকের পর বাড়ছে জল্পনা]
পরবর্তীতে সিআইএসএফ এবং Aerodrome পুলিশ স্টেশনের আধিকারিকরা ওই সাধ্বীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জেরায় সাধ্বী যোগমাতা সচদেব দাবি করেন, “ওই খুলি এবং হাড়গোড় এক সাধুর। হরিদ্বারে গঙ্গায় তা নিমজ্জিত করার জন্যই তিনি সেগুলি নিয়ে যাচ্ছিলেন।” কিন্তু তাঁর এই দাবি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে খোদ নিরাপত্তাকর্মীদের মনেই।
কর্তৃপক্ষের মতে, কেউ যদি এভাবে অস্থি বিমানে নিয়ে যেতে চান, তাহলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। আর সেটি নিতে হয় হ্যান্ডব্যাগে। কিন্তু ওই সাধ্বী সেটি নিয়ে যাচ্ছিলেন লাগেজের ব্যাগে, যা কিনা নিয়মবিরুদ্ধ। সংবাদমাধ্যমকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এটাও জানায় যে, সাধ্বী যোগমাতা সচদেবের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল না। তবে তাঁর বয়ান রেকর্ডের পরই অবশ্য বিমানে চড়ার অনুমতি পান তিনি। জানা গিয়েছে, এই ঝামেলার কারণে সন্ধ্যার বিমান মিস করলেও, রাতের বিমানে দিল্লি যেতে পেরেছেন সাধ্বী যোগমাতা সচদেব। এদিকে, এই ঘটনা সামনে আসায় এয়ারপোর্ট চত্বরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়।