সুকুমার সরকার, ঢাকা: মাছ ধরার জালে আঘাত। রক্তক্ষরণ হয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) পটুয়াখালির মোহনায় মৃত্যু হল গর্ভবতী ডলফিনের। বঙ্গোপসাগরের ট্রলিং জাল অর্থাৎ মাছ ধরার জন্য তৈরি বিশেষ জালে ডলফিনটির (Dolphin) পেটে আঘাত লেগেছে। তাতেই রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালেই পটুয়াখালির আন্ধারমানিক নদের মোহনায় ভেসে এসেছিল ডলফিনটি। এটি ইরাবতী প্রজাতির স্ত্রী ডলফিন বলে জানা গিয়েছে। তার শরীরের নিচে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বাঁচানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।
রবিবার সকাল ৭ টা নাগাদ জোয়ারের জলে লেম্বুর চর সংলগ্ন নদের মোহনায় ভেসে আসে একটি ডলফিন। সঙ্গে সঙ্গে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির তরফে রুম্মান ইমতিয়াজ বলেন, ”আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ডলফিনটি মোহনায় আটকে ছটফট করছে। সাত ফুট বাই দু’ ফুটের জলজ প্রাণীটির পেটে বাচ্চা ছিল। বঙ্গোপসাগরের ট্রলিং জালে অথবা ট্রলিং বোটের পাখার আঘাতে ডলফিনটি আহত হয়। তার পেটে আঘাত লাগে। তাতে হয়ত প্রসব বেদনা উঠেছিল। তাই ভাসতে ভাসতে সে মোহনার দিকে চলে আসে।”
[আরও পড়ুন: বাংলার মেয়ের অসাধ্য সাধন, অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় হুগলির পিয়ালির]
ডলফিন রক্ষা কমিটির আরেক সদস্য কে এম বাচ্চু জানান, ছটফট করতে থাকা ডলফিনটির শুশ্রূষা করে, আদরযত্ন করে চারবার তাকে সাগরের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বারবারই ডলফিনটি কিনারায় ফিরে আসছিল। এভাবে ঘণ্টা দুই পেরিয়ে যাওয়ার পর ডলফিনটি নিথর হয়ে যায়। বাচ্চুর কথায়, ”আমরা কিছুই করতে পারলাম না, অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখলাম মৃত্যু। চোখের সামনে এরকম করুণ মৃত্যু দেখে আমরা খুব ব্যথিত।’’ ডলফিনটির মৃত্যুর (Death) সঠিক কারণ জানতে তাকে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। বনদপ্তরের সঙ্গেও এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।