দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে খুন করে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার শঙ্করপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগরায় এলাকায়। বুধবার রাতেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক তাঁদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহড়ু এলাকার বাসিন্দা রুকসানা বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাহিলের। তবে মাস আটেক আগে রুকসানার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলে প্রেমিক সাহিলের হাত ধরে পালিয়ে যান তিনি। তাঁরা বিয়েও করে। পরে রুকসানার পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনেও নেয়। এদিকে মৃত্যুর সময় রুকসানা অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে দাবি পরিবারের।
[আরও পড়ুন: কাটমানি না দেওয়ায় বিবাহিত দেখিয়ে কন্যাশ্রীর ফর্ম বাতিল! বিডিও’র দ্বারস্থ মালদহের ছাত্রী]
মৃতের পরিবারের দাবি তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করলেও পণ ও টাকার দাবিতে শ্বশুড়বাড়ি লোক মাঝে মধ্যেই রুকসানার উপর অত্যাচার করত। এর মধ্যেই বুধবার রুকসানার মৃত্যুর খবর আসে পরিবারের কাছে। খবর যায় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে। পরে বিশাল বাহিনী নিয়ে এসে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের বড় দাদা খোকন শেখ বলেন, "আমার বোনের উপর মানসিক অত্যাচার করা হত। পণের জন্য চাপ দিত ওরা। সেই কথা রুকসানা অন্য বোনকে জানিয়েও ছিল। ঘটনার আগে বোন বাড়িতে চলে আসে। তবে ওর বর বাড়িতে এসে নিয়ে যায়। আমি দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।" মৃতের বাবা রোশন শেখ বলেন, "আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি চাই।" তাঁর অভিযোগ, পণের জন্যই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রুকসানাকে খুন করেছে। একই দাবি মৃতার দিদি জাসমিনা বিবিরও।
ঘটনার পর এলাকায় যান স্থানীয় শঙ্করপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপক নস্কর
তিনি বলেন, "গতকাল রাত ১১টার সময় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি, সঠিক তদন্ত করে কে দোষী দেখা হোক"।