সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরকীয়ার পরিণতি যে কী মারাত্মক হতে পারে, আখছার তার উদাহরণ মেলে। এবার ঝাড়খণ্ডে ঘটল নৃশংস ঘটনা। পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী। লুকিয়ে অন্য গ্রামের প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। স্ত্রীর এই কীর্তি জানতে পেরেই নৃশংস কাণ্ড ঘটালেন স্বামী। কুড়ুল দিয়ে যুবকের মাথা কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) লনজো গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ সুন্ডির দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর উপর সন্দেহ জন্মেছিল। তিনি আন্দাজ করেছিলেন সেগাইসাই গ্রামের শ্যামল হেমব্রম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী। শুক্রবার রাতে তাঁর সন্দেহে সিলমোহর পড়ে। কাজ থেকে ফিরে শ্যামল ও নিজের স্ত্রীকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন তিনি। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে লনজো গ্রামে এসেছিলেন শ্যামল। কিন্তু আর ফেরা হয়নি তাঁর। পরকীয়া হাতেনাতে ধরতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বিশ্বনাথ।
[আরও পড়ুন: কলকাতার ফুটপাথে আমজনতার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ শতাব্দী-কুণালের, ব্যাখ্যা দিলেন বিতর্কেরও]
দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তাঁদের দিকে ছুটে যান বিশ্বনাথ। এরপরই স্ত্রীর প্রেমিককে মেঝেয় ফেলে মারধর করতে শুরু করেন। শ্যামলকে টানতে টানতে বাড়ির কাছের একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলেন। এরপর মেজাজ হারিয়ে সেখানে পড়ে থাকা একটি কুড়ুল হাতে তুলে নেন তিনি। সজোরে আঘাত হানেন শ্যামলের মাথায়। রাগে বারবার কোপাতে থাকেন শ্যামলের মাথা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর বলে খবর।
গোটা ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে লনজো গ্রামে পৌঁছায় সনুভা থানার পুলিশ। সেখান থেকেই অভিযুক্ত বিশ্বনাথকে গ্রেপ্তার করে তারা। শ্যামলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ‘ঘাতক’ কুড়ুলটিকেও। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে বিশ্বনাথের মেজাজ হারিয়ে খুন করার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্বামীর কাণ্ডে ত্রস্ত স্ত্রীও।