নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রেমে পড়ে দুই সন্তানের বাবাকে বিয়ে করেছিলেন বীরভূমের এক মহিলা। বিয়ের এক মাস পেরতেই স্বামীর স্বরূপ জানতে পারেন নব বিবাহিতা। ‘জুয়ারি’ স্বামীর চাহিদা মেটাতে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতেন। কিন্তু তারপরেও সংসারে শান্তি আসেনি। আর তাই স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই পথ ধরতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। রাস্তায় ফেলে স্ত্রীকে এলোপাথারি কোপাল স্বামী। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের নলহাটিতে।
বীরভূমের পাইকর থানার বোরোলিপারা এলাকার বাসিন্দা শাকিলা খাতুন। কলকাতায় গিয়েছিলেন কাজের উদ্দেশে। সেখানেই তাঁর পরিচয় হয় মোহিতকুমার বর্মার সঙ্গে। তিনি আবার দুই সন্তানের পিতা বাবা। দুজনে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দুমাস আগে বিয়েও করে ফেলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ১৩ বছরের কিশোরের সন্তানের মা হলেন ৩১ বছরের মহিলা, তবু জেলে যেতে হচ্ছে না ‘যৌন অপরাধী’কে!]
শাকিলা খাতুনের অভিযোগ, বিয়ের পরেই তিনি জানতে পারেন মোহিত জুয়া খেলায় আসক্ত। তাই সংসার চালানোর জন্য একমাস আগে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে যান কলকাতায়। কিন্তু বারংবার তাঁর স্বামীকে বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরিবর্তে জুটেছে মার। আর তাই শাকিলা খাতুন শনিবার কলকাতা থেকে বীরভূম চলে আসছিলেন। তখন কলকাতা থেকেই তাঁর পিছু নেয় মোহিত।
অভিযোগ, শাকিলা নলহাটিতে ট্রেন থেকে নামলে হুমকি দিতে থাকে মোহিত। স্ত্রীর মামাকে দেখতে পেয়ে শাকিলাকে টেনে নলহাটির রামমন্দির সংলগ্ন একটি দোকানের পিছনে নিয়ে যায় এবং তাঁর গলায় ছুরি দিয়ে কোপ মারার চেষ্টা করে। বাধা দিলে ছুরি দিয়ে শাকিলাকে পেটে, হাতে ও পায়ে কোপ মারে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নলহাটি থানার পুলিশ। আহত মহিলাকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।