সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানের জন্ম দেওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার। তিনি গর্ভধারণ করতে চান। তবে তার জন্য স্বামীসঙ্গ দরকার। এমনই কারণ দেখিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে স্বামীর মুক্তির আর্জি জানিয়েছিলেন এক জেলবন্দির স্ত্রী। ওই মহিলা পিটিশনে আরও জানান, তিনি যাতে মা হতে পারেন তার জন্য তাঁকে অন্তত ১৫-২০ দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হোক। এরই শুনানিতে বিচারপতি মহিলা সন্তানধারণে সক্ষম কি না তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য জব্বলপুরের একটি সরকারি হাসপাতালের ডিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি বিবেক আগরওয়ালের নির্দেশ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কলেজ হাসপাতালে আগামী ৭ নভেম্বর ওই মহিলাকে ডিনের কাছে উপস্থিত হতে হবে। ওইদিন তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ডিন পাঁচ চিকিৎসকের একটি দল প্রস্তুত রাখবেন। সেই দলে থাকবেন তিন জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন মনোবিদ ও একজন হরমোনজনিত অসুখের চিকিৎসক। তাঁরা মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করে দেখবেন তিনি গর্ভধারণের জন্য শারীরিক দিক থেকে সক্ষম কি না। উল্লেখ্য, এক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ওই আবেদনকারীর স্বামী দীর্ঘদিন ইন্দোরের জেলে বন্দি রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘গোটা গাজা ঘিরে ফেলেছি’, হুঙ্কার ইজরায়েলের, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৯ হাজার]
জব্বলপুরে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি সুবোধ কাঠার কোর্টে দাবি করেছিলেন, ওই মহিলা প্রজননে সক্ষম নন। কারণ তাঁর মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্যই ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মহিলা তাঁর আর্জিতে গর্ভধারণ মৌলিক অধিকার বলে দাবি করার পাশাপাশি নন্দ লাল ও তাঁর স্ত্রী রেখা বনাম রাজস্থানের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মামলার উল্লেখ করেছিলেন। ২০২২ সালে ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির স্ত্রীর সন্তানধারণের আর্জি শুনে আসামিকে ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল রাজস্থান হাই কোর্ট।