স্টাফ রিপোর্টার: মঙ্গলবারই 'সংবাদ প্রতিদিন'-এ প্রকাশিত হয়েছিল ট্রান্সফার ব্যানের কবলে হায়দরাবাদ এফসি। সেই খবরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফিফার চিঠি পেয়ে গেল আইএসএল ক্লাবটি। ফিফার জুরিখের অফিস থেকে হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) কাছে ২৩ এপ্রিল তারিখে চিঠিটি এসেছে। শুধু ক্লাবের কাছেই নয়, ফিফার এই বার্তা চলে গিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছেও।
সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই এই ট্রান্সফার ব্যান কার্যকর হবে হায়দরাবাদ এফসির জন্য। যদিও ব্যানের নির্দিষ্ট কারণ লেখা নেই ফিফার চিঠিতে। তবে জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে কোচ, ফুটবলারদের বেতন না দেওয়ায়, ফিফার নির্দেশে এই ব্যানের সম্মুখীন হায়দরাবাদের দলটি। এই ব্যানের জন্য আর নতুন ফুটবলার সই করাতে পারবে না হায়দরাবাদ এফসি। এই মরশুমে দলের শোচনীয় অবস্থা ছিল হায়দরাবাদের। আট পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের একেবারে শেষ স্থানে শেষ করেছে তারা।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনই ফের রাজ্যে আসছেন মোদি, এবার নজরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মালদহ]
গত মরশুমে যখন হায়দরাবাদ ছেড়ে এফসি গোয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কোচ মানোলো মার্কুইজ, তখনই ফিফায় তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর ছয় মাসের বেতন বাকি হায়দরাবাদ থেকে। এই অভিযোগ জানানোর পর তিনি দুই মাসের বেতন পেলেও চার মাসের বেতন এখনও তার বাকি। এরপর বিদেশি ফুটবলাররাও একই অভিযোগ জানান ফিফায়। ভারতীয় ফুটবলাররাও প্রায় ছয় মাসের বেতন পাননি এই ক্লাব ম্যানেজমেন্ট থেকে। এমনকী, এই মরশুমে আইএসএল ম্যাচ চলাকালীনই ‘বেতন চাই’ বলে ব্যানার প্রদর্শন করেন হায়দরাবাদ এফসির কর্মীরা। ভারতীয় ফুটবলারদের হয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা এফপিএআই সংস্থা। এত অভিযোগের পরেই ফিফা হায়দরাবাদের ট্রান্সফার ব্যানের সিদ্ধান্ত নেয়।
আপাতত এই ব্যান না ওঠা পর্যন্ত ফুটবলার সই করাতে পারবে না হায়দরাবাদ। জানা গিয়েছে কোচ, ফুটবলারদের বকেয়া বেতন পরিশোধের পর তাদের থেকে এনওসি নিতে হবে ক্লাবকে। তার পরই এই ব্যান উঠবে। সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে খারাপ পারফরম্যান্সের পর এবার এই ব্যানের কবলে পড়ে কার্যত দল চালানোই কঠিন হয়ে গিয়েছে হায়দরাবাদের দলটির।