সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা পাচারের অভিযোগে ধৃত কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও বর্তমানে জেলবন্দি। টানা জেরায় কার্যত বিপর্যস্ত। আইনজীবীর কাছে তিনি জানান, "মানসিক অবসাদে ভুগছি। আমি ঘুমোতে পারছি না। বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারির স্মৃতি যেন আমাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।" এদিকে, সূত্রের খবর, ডিআরআইয়ের সঙ্গে সোনা পাচার মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। তাই স্বাভাবিকভাবে আরও বিপাকে অভিনেত্রী।

ধৃত জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাঁর কাছে ১৭টি সোনার বাট ছিল। একইসঙ্গে তদন্তকারী অফিসারদের সামনে কী কৌশলে তিনি সোনা পাচার করতেন, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে দুবাই ফেরত বিমানে নামা রানিয়াকে বিপুল সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। একই সঙ্গে অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন কোনও পাচারচক্রের সঙ্গে তিনি জড়িত নয়। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
আধিকারিকদের সামনে জেরার লিখিত বিবৃতিতে অভিনেত্রী উল্লেখ করেছেন, তিনি ইউরোপ, আমেরিকা, আরব দুনিয়া এবং সৌদি আরব ও দুবাইয়ে ঘনঘন যাতায়াত করেছেন। তিনি এই মুহূর্তে অত্যন্ত ক্লান্ত। এবং বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না।
চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর
উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর বাবা রামচন্দ্র রাও একজন আইপিএস অফিসার। বছর কয়েক আগে ম্যাইসুরুতে একটি সোনা পাচারের মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁরও। এবার ওই অফিসারের কন্যাই ধরা পড়লেন সোনা পাচার মামলায়। তিনি জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর উপর কোনও জোরাজুরি করা হয়নি। তিনি কোনও চাপের মুখে এই বিবৃতি দিচ্ছেন না। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে খাবার, জল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে খিদে না থাকায় খাননি অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, অভিনেত্রীর পাসপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে, রানিয়া ৪৫টিরও বেশি দেশে গিয়েছেন।