সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “সেই সময় মনে হয়েছিল গোটা দুনিয়ায় আমার কেউ নেই। বড্ড একা হয়ে পড়েছিলাম।” বক্তা আর কেউ নন, খোদ ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। নিজেই জানালেন কেরিয়ারের একটা সময় ঠিক কতখানি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার রীতিমতো ঈর্ষণীয়। গোটা দুনিয়ার প্রশংসা কুড়িয়েছে তাঁর ব্যাটিং। তিনিও এমন হতাশাগ্রস্ত হয়েছিলেন! বিশ্বাস করাই যেন কঠিন। কিন্তু ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা মার্ক নিকোলাসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তেমনই নানা অজানা কথা জানালেন কোহলি (Virat Kohli)। সেখানেই তিনি ২০১৪ সালের ঘটনার কথা বলেন। ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Team india)। সেখানে একের পর এক ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন কোহলি। আর তাতেই বাড়ে হতাশা। পাঁচ টেস্টে কোহলির সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ ও ২০। অর্থাৎ দশটি ইনিংসে শতরান তো দূর অস্ত, একটি হাফ-সেঞ্চুরিও করতে পারেননি তিনি। দশ ইনিংসে তাঁর গড় ছিল ১৩.৫০। সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেই কোহলি বলেন, “হ্যাঁ, কেরিয়ারের এক সময় সত্যিই হতাশা গ্রাস করেছিল আমায়। ঘুম থেকে উঠেই যদি মনে হয় আজ আমি রান করতে পারব না, সেই অনুভূতি কোনও ক্রিকেটারের জন্যই সুখকর নয়। আমার বিশ্বাস, সব ক্রিকেটারকেই জীবনের একটা না একটা সময় এই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। মনে হয় যেন নিজের হাতে কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব, ভেবে কূলকিনারা পাওয়া যায় না।”
[আরও পড়ুন: দেশের হয়ে না খেলে আইপিএলে নাইটদের জার্সি গায়ে চাপাবেন শাকিব! বিতর্ক বাংলাদেশে]
এরপরই জুড়ে দেন, “আমিও কোনওভাবেই পরিস্থিতি বদলাতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল, গোটা বিশ্বে আমিই সবচেয়ে একা।” আশেপাশে বহু মানুষ তাঁর পাশে দাঁড়ালেও সেই একাকীত্ব চট করে কাটেনি। কোহলির কথায়, “সবার সঙ্গেই কথাবার্তা বলতাম। কিন্তু হতাশা কাটত না। মনে হয়, কোনও বিশেষজ্ঞই একমাত্র এ ব্যাপারে হয়তো সাহায্য করতে পারত। নিজের অনুভূতিটা তাঁকেই বোঝাতে পারতাম।”
হতাশ হওয়ার যন্ত্রণা নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছেন। তাই কোহলির মতে, শুধু শরীর নয়, সাফল্যের জন্য মানসিকভাবে ক্রিকেটারের ফিট থাকা প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটারদের মানসিক দিক থেকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষজ্ঞের অত্যন্ত প্রয়োজন।