সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিংহ-বিক্রম বললেও ভুল বলা হবে। বলা উচিত – বিরাট-বিক্রম। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাটিং যে এখন শুধুই তাঁর নামের সঙ্গে তুলনীয়, এক ও অদ্বিতীয়রূপে।
রবিবাসরীয় তিরুবনন্তপুরমে যে অতিমানবীয় ইনিংসটা কোহলি খেললেন, তা দেখার পর আফসোস করতেই পারেন ইডেন কিংবা কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা! শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজে দু’টো শতরান এল বিরাটের ব্যাট থেকে। ব্যতিক্রম হয়ে রইল শুধু ইডেন। বৃহস্পতিবার এই নির্বিষ লঙ্কান বোলারদের বিরুদ্ধে সেদিন মাত্র ৪ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন বিরাট। ক্রিকেটের নন্দনকানন থেকে সেই আফসোস যেন বয়ে বেড়াচ্ছিলেন খোদ কোহলিও। নয়তো এমন রানের অগ্ন্যুৎপাত কেন ঘটবে তাঁর ব্যাট থেকে।
[আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র হরমনপ্রীতদের, হকি বিশ্বকাপের নকআউট নিশ্চিত হল না ভারতের]
এদিন ৮৫ বলে কেরিয়ারের ৪৬তম সেঞ্চুরি সম্পন্ন করলেন। ভাঙা-গড়ায় নিজের নামের পাশে জুড়লেন একাধিক রেকর্ড। প্যাভিলিয়নে যখন ফিরলেন তখন নামের পাশে ১৬৬ নঃআঃ। শেষ চার ম্যাচে তিনটে শতরান। বিরাট স্বমহিমায়। তাঁর এবং শুভমান গিলের ব্যাটে ভর করে ভারতের ‘বিরাট’ লঙ্কা-জয়ের পর ম্যাচের সেরা ও সিরিজ সেরা হিসেবে কোহলিকে ছাড়া অন্য কারও নাম ভাবাও যাচ্ছিল না। তবে পুরস্কার প্রাপ্তিতেও আশ্চর্য নির্লিপ্ত বিরাট। যেন ক্রিকেটসাধকের নির্মোহ দৃষ্টিতে তা গ্রহণ করলেন। তাঁর কথাতেও সেই ভাবনার প্রতিফলন। বললেন, ‘‘যে অভিপ্রায় নিয়ে খেলেছি, এটা (ম্যাচ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার) তারই ফসল। আসল লক্ষ্য ছিল দলকে সাহায্য করা, দলকে একটা শক্ত ভিতে দঁড় করানো। আমার পরিকল্পনা একদম ঠিক ছিল। এবং তাই আমার অবদান দলের কাজে লেগেছে।’’
আশ্চর্য হলেও সত্যি। একবছর আগে এই ১৫ জানুয়ারি বিরাট ছেড়েছিলেন ভারতের টেস্ট নেতৃত্ব। একবছরে পৃথিবীটা কতটা বদলে গিয়েছে, সেটা কোহলির কথাতেই স্পষ্ট। বললেন, ‘‘ব্রেক থেকে ফিরে আসার পর থেকে আমি উজ্জীবিত বোধ করছি। কোনও মাইলস্টোন ছোঁয়ার তাড়াহুড়ো আমার নেই। আমি নিজের খেলাটা খেলে যেতে পারলেই সন্তুষ্ট। যেভাবে ব্যাট করেছি, তাতে আমি খুশি। চেষ্টা করেছি নিজের স্বাভাবিক খেলাটা তুলে ধরার।’’ পাশাপাশি বিশ্বকাপের আগে নতুন বলে মহম্মদ সামির সঙ্গে মহম্মদ সিরাজের পারফরম্যান্সও মুগ্ধ করেছে বিরাটকে।