সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে কনকনে ঠান্ডা, অন্যদিকে ঠাসা সমর্থক। পাশাপাশি থাকছে দুর্দান্ত পারফর্ম করে প্রথম হোম ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অতীত। তিন ফ্যাক্টরই রিয়াল কাশ্মীরের পক্ষে। আর তাই ম্যাচ খেলতে নামার ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে এই বিষয়গুলিই ভাবাচ্ছে মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনাকে।
রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় খেলা। আই লিগের ইতিহাসে এমন সময়ে খেলা হয়নি। মন্দ আবহাওয়ার কারণেই সময়ের পরিবর্তন। ট্রাউ বা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ড্র করলেও ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছিল রিয়াল কাশ্মীর। গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় হোম ফেভরিটরা। এমন বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে অনেকে বলেছিলেন, ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে যাওয়ার কারণে হার মানতে বাধ্য হয় চেন্নাই।
[আরও পড়ুন: অ্যাওয়ে ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়, ফের আইএসএলের শীর্ষে এটিকে]
মোহনবাগান কোচও এই নিয়ে চিন্তিত। নাহলে ভিকুনা বলবেন কেন, “আমার দলের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। জানি তারা কী করতে পারে। কিন্তু ভাবিয়ে তুলেছে দু’টো ফ্যাক্টর। এক, সমর্থক ঠাসা স্টেডিয়াম। গ্যালারির পুরো সমর্থন তারা পাবে। অন্যদিকে আবহাওয়া। এমন পরিবেশে খেলতে কাশ্মীর দলের ফুটবলাররা অভ্যস্ত। আমরা নই। তাই আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলতে পারে ওরা। এইসব ফ্যাক্টর সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছে।” নেতিবাচক দিক যদি এসব হয়, তাহলে ইতিবাচক দিকও যথেষ্ট রয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।
প্রথমত, সব ম্যাচে গোল পাচ্ছে বাগান। এখনও পর্যন্ত আটটা গোল করেছে দল। যার মধ্যে ফ্রান্সিসকো গঞ্জালেজ করেছেন চার ম্যাচে পাঁচ গোল। মাঝমাঠে বেইতিয়া ঝড় তুলে দিচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, গত ম্যাচে গোকুলামকে হারিয়ে ছন্দেই রয়েছে গঙ্গাপারের ক্লাব। তৃতীয়ত, নতুন বছরে দলে যোগ দিয়েছেন বাবা। সেনেগালের ফুটবলারের দিকে আজ প্রতিটি মোহনবাগান সমর্থক তাকিয়ে থাকবেন। চামোরোর পরিবর্ত হিসাবে এসেছেন বাবা। রবিবাসরীয় সকালে তিনি থাকবেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু কাশ্মীরের কালুমকে ছোট করে দেখারও কোনও জায়গা নেই। চেন্নাইকে হারানোর প্রধান নায়ক যে তিনিই ছিলেন। তাই আজ বাবা বনাম কালুমের লড়াই দেখতেই মুখিয়ে রয়েছে তুষারাবৃত কাশ্মীর।
[আরও পড়ুন: মোহনবাগানের পর প্লাজা হুলে বিদ্ধ ইস্টবেঙ্গলও, অ্যাওয়ে ম্যাচে হার লাল-হলুদের]
The post ভূস্বর্গে আজ ‘রিয়াল’ লড়াই মোহনবাগানের, তিনটি ফ্যাক্টর ভাবাচ্ছে কোচ ভিকুনাকে appeared first on Sangbad Pratidin.