সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু প্রতিপক্ষ দলই নয়, রেফারিরাও এখন ভয় পাচ্ছেন আইজল গিয়ে ম্যাচ খেলাতে। ম্যাচ শেষেই আইজল সমর্থকদের কাছে আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠছে রেফারি ও প্রতিপক্ষ দল। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে প্রথম সেই ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। যেখানে আইজলের প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিলের উপর চড়াও হয়েছিলেন সমর্থকরা। তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে ঘেরাও করা হয় ইস্টবেঙ্গলের ড্রেসিংরুমও। মোহনবাগান ম্যাচের দিনও একই দৃশ্য ফুটে ওঠে। তবে সেবার সমর্থকদের নিশানায় ছিলেন রেফারিরা। সবুজ-মেরুনকে পেনাল্টি দেওয়া ও আইজলকে না দেওয়া নিয়ে রেফারি ও লাইন্সম্যানদের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় মাঠেই আটকে থাকেন রেফারিরা। বাগান ফুটবলাররাও হেনস্তার শিকার হন। এরপর স্বাভাবিকভাবেই আইজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রথমে ইস্টবেঙ্গল, পরে মোহনবাগান চিঠি পাঠায় ফেডারেশনের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, সেখানকার সমর্থকদের হিংস্র আচরণের জন্য ঘরের মাঠে আপাতত কোনও ম্যাচ দেওয়া হবে না আইজলকে।
[বাংলার ঈশানের পেসে ছারখার পাকিস্তান, ঘরের ছেলের জন্য গর্বিত চন্দননগর]
সোমবার ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিংয়ে চেয়ারম্যান ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাঠে দর্শকদের হাঙ্গামা মারাত্মক ব্যাপার। যতদিন না এই ইস্যুতে ফেডারেশন চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে, ততদিন আইজল নিজেদের মাঠে আই লিগের কোনও ম্যাচ খেলতে পারবে না।” তাহলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আইজল তাদের হোম ম্যাচ কোথায় খেলবে? ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “সেটা আমার জানার কথা নয়।”
[ফুটবল দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে সুনীল ছেত্রীর জন্মদিন]
ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “খারাপ লাগছে আইজলের জন্য। কেন না, ক্লাব কোনও দোষ করেনি। তাদের সমর্থকদের জন্য এখন নিজেদের মাঠে ম্যাচ হারাতে হচ্ছে আইজলকে। সমর্থকরা বোঝেন না, তাদের অন্যায় আচরণে কত সমস্যায় পড়তে হয় ক্লাবগুলিকে। আমার মনে হয়, ঘরের মাঠে ম্যাচ বাতিল না করে ফেডারেশন যদি সমর্থক ছাড়া আইজলকে ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দিত, সেটাই ভাল হত।” ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “প্রমাণ হল, সেদিন আমাদের অভিযোগ একদম ঠিক ঠাক ছিল।”
The post ঘরের মাঠে সমর্থকদের বিক্ষোভের জের, আইজলকে কড়া শাস্তি ফেডারেশনের appeared first on Sangbad Pratidin.