সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইনভেস্টর-জট আপাতত কেটে গেল। আই লিগের আগে স্বস্তি ফিরল মহামেডান স্পোর্টিং শিবিরে। শনিবার বোধন আই লিগের। প্রথম দিন মহামেডানের (Mohammedan SC) সামনে সুদেভা এফসি।
কলকাতার অপর দুই প্রধানই এখন ISL-এ। তাই এবারের আই লিগে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি রেড রোডের ধারের ক্লাব। টুর্নামেন্টে নামার আগে সাদা-কালো শিবিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইনভেস্টর ইস্যু। ক্লাবের কর্মকর্তা এবং ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের আধিকারিকদের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হলেও শুক্রবারের বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে এসেছে বলেই খবর। ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে না ইনভেস্টরের।
[আরও পড়ুন: মেসি-রোনাল্ডো তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন, মানতে পারেননি! বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন পেলে]
বাঙ্কারহিলের অন্যতম ডিরেক্টর দীপক কুমার সিং বলেন, ”আজ ক্লাবকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক বেশ ভালই হয়েছে। যে যে বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিল তা মিটে গিয়েছে।” দিনকয়েকের মধ্যেই চুক্তিপত্রে চূড়ান্ত সই করে দেবে দু’পক্ষ। এ দিন ইনভেস্টর-ক্লাবের মিটিংয়ের আগে ফুটবলারদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন কর্তারা। ইনভেস্টর নিয়ে না ভেবে নিজেদের খেলায় ফোকাস রাখার জন্য ফুটবলারদের পরামর্শ দেন কর্তারা। ফুটবলাররাও পাখির চোখ করছেন আইলিগের উদ্বোধনী ম্যাচকেই।
করোনা আবহে একেবারে নতুন ফরম্যাটে খেলা হবে এবারের আই লিগ। গোটা টুর্নামেন্ট হবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। স্টেডিয়াম থাকবে দর্শকশূন্য। স্প্যানিশ কোচ হাবিয়া ভারচুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, ”দীর্ঘ সাত বছর পর আই লিগে নামলেও খেলোয়াড়রা হালকা মেজাজে রয়েছে। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই জয়ের জন্য ঝাঁপাবে দল। জয় দিয়ে শুরু করলে বাকি টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাস পাবে।” কতটা তৈরি দল? এই প্রশ্নের উত্তরে হাবিয়া বলেন, ”প্রথম ম্যাচের আগে দল পুরোপুরি তৈরি। কোয়ারেন্টাইনের কারণে কয়েকটা দিন নষ্ট হলেও, প্রস্তুতি ঠিকঠাকই হয়েছে।” মহামেডানই আই লিগে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি, সেকারণে প্রত্যাশার চাপ কি আরও বাড়বে? এই প্রসঙ্গে হাবিয়ার জবাব, “আমাদের দলের একমাত্র লক্ষ্যই হল প্রত্যেকটি ম্যাচই জেতা। তাই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে আমরা ভাবছি না।”
[আরও পড়ুন: দুরন্ত গোল করে সুনীলদের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট আনবেন, আত্মবিশ্বাসী লাল-হলুদের ব্রাইট]
শনিবার দুপুর দুটোয় খেলা মহামেডানের। খেলার সময় নিয়ে অসন্তুষ্ট হাবিয়া বলেন, “অবশ্যই দুপুর ২টো থেকে খেলা হওয়ায় ফুটবলারদের কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হবে। এই আবহাওয়ায় ওই সময় খেলা যায় না। এতে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেই প্রভাব পড়বে। তবে আমাদের এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।” এদিন কোচের সঙ্গে এসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুইঁয়া। প্রথম ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা সেব্যাপারে স্পষ্ট না জানালেও জামাল বলেন, “মহামেডানের হয়ে খেলা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। জানি চাপ থাকবে। প্রত্যেকেই ম্যাচ জিততে চায়, আমিও তাই চাই। আমিও তাই এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। আশা করি সফল হব।”
এদিকে, মহামেডান টিডি শংকরলাল চক্রবর্তী প্রথম ম্যাচে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। সংবাদ প্রতিদিনকে তিনি বললেন, ”জৈব সুরক্ষা বলয়ের জন্য প্র্যাকটিসের সময় কিছুটা কম পাওয়া গিয়েছে। আরেকটু সময় পেলে ভাল হত। তবে এই বাধা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। চাইছি কাল ম্যাচটা জিতে ফিরি। তারপর দল গোছানোর আরও সুযোগ পাওয়া যাবে। ” এদিকে, স্টেডিয়ামে দর্শক না থাকার প্রসঙ্গে শংকরলাল জানান, “এই প্রসঙ্গে খেলোয়াড়-কোচ সবার সঙ্গেই কথা বলা হয়েছে।”