আইজল: ১ (লালথাথাঙ্গা)
মোহনবাগান: ১ (মননদীপ-পেনাল্টি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিসংখ্যান বলছে ডার্বির পরের ম্যাচ বড় ক্লাবের কাছে বিশেষ সুখের হয় না। পচা শামূকে পা কাটার উদাহরণও রয়েছে ভুরি ভুরি। বৃহস্পতিবার আইজলের বিরুদ্ধে যেন সেই পরিসংখ্যানের দিকেই ঝুঁকছিল মোহনবাগান। কিন্তু ভাগ্যজোরে একটি পেনাল্টিতেই হারের হাত থেকে রক্ষা পেল শংকরলালের দল।
[ব্যাটিং বিপর্যয়ে শেষ টেস্টের প্রথম দিনই ব্যাকফুটে বিরাটরা]
আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে প্রথমবার হেডস্যার হিসেবে এসে খেলার স্টাইলই পালটে দিয়েছিলেন শংকরলাল চক্রবর্তী। বাঁধা-ধরা ছকের সেই মোহনবাগানকে এক্কেবারে অচেনা মনে হয়েছিল। তার উপর ডিকার বিশ্বমানের গোলে বড় ম্যাচের রং হয়েছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু এদিন মোহনবাগান ফিরল পুরনো রূপে। ডার্বির স্কিল কোথায় যেন উধাও। চোটের জন্য প্রথমার্ধেই ডিকাকে তুলে নিতে হল। তার উপর মাঝমাঠ থেকে বল সাপ্লাই দিতে পারলেন না ওয়াটসনরা। ফলে খেলার গতি যেমন ছিল স্লথ তেমনই গোলে শটই পৌঁছল না কোনও। উইংকেও ততটাই অকেজো দেখাল। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রম একবারই গোলমুখী শট নেন। যদিও তাতে গোল হয়নি। এক গোলে পিছিয়ে গিয়েও বাড়েনি আক্রমণের ঝাঁজ। বক্সের ভিতর আক্রমকে ফাউল করায় পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো জোটে একটা পেনাল্টি। আর সেখান থেকেই মননদীপের গোলে সমতায় ফেরে দল। সোনি নর্ডির অভাব যেন অনেকখানিই অনুভূত হল।
[মোহনবাগান আইএসএল খেলবেই, ঘোষণা টুটু বোসের]
দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডোডোজের দুর্দান্ত ক্রস পৌঁছে যায় লালথাথাঙ্গার পায়ে। তাঁর শট প্রথমবার শিল্টন আটকে দিলেও ডিফ্লেকশনে বল জালে জড়িয়ে যায়। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এমন সময় এগিয়ে গিয়েছিল, যে সেখান থেকে ম্যাচ বের করা বাগান ফুটবলারদের পক্ষে এমনিই কঠিন ছিল। পেনাল্টির সৌজন্যে হার থেকে রক্ষা পেলেও চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে কিন্তু বেশ চাপে পড়ে গেল গঙ্গাপারের ক্লাব। এই ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গলকে টপকে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সেটাও হল না। অ্যাওয়েতে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে শংকরলালকে। ১১ ম্যাচ পর বাগানের ঝুলিতে ১৭ পয়েন্ট। তবে এদিন রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ আইজল তারকারা। অ্যালফ্রেডকে লাল কার্ড দেখানো উচিত হয়নি বলেই মত আইজল কোচ মেনেসেসের।
The post ডার্বির রেশ উধাও, পাহাড়ে আইজলের সঙ্গে ড্র নিস্তেজ মোহনবাগানের appeared first on Sangbad Pratidin.