ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আই-প্যাকের (I-PAC)সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তার মাঝেই তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থার ওয়েবসাইটে একটি দাবি ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল শুক্রবার রাতে। তাতে লেখা, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের আমন্ত্রণে তাদের হয়ে আই-প্যাক কাজ করতে আসে। বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য আসে তৃণমূলের। সেই প্রেক্ষিতে নিজেদের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করেছে আই-প্যাক। তাদের এই দাবি ঘিরে নতুন করে জল্পনা উসকে উঠেছে। হঠাৎ কী কারণে তাদের এই দাবি, তা নিয়ে শুরু জোর আলোচনা।
কীভাবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক কাজে আবদ্ধ হল পিকে’ আই-প্যাক, নিজেদের ওয়েবসাইটে তা তুলে ধরেছে সংস্থা। তাতে লেখা-২০১৯–এ কোন অবস্থায় তারা রাজ্যে আসে। আই-প্যাকের তরফে লেখা হয়েছে, ‘‘সেই সময় মূল বিষয়ই ছিল রাজ্যে থাকা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। স্থানীয় স্তরে সেই হাওয়াকে আরও জটিল করে দিয়েছিল রাজ্যে বেড়ে ওঠা সাম্প্রদায়িক অশান্তির ভয়।’’ একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আই-প্যাক কাজ শুরুর সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ও হিংসার খবরও সামনে আসছিল।’’
[আরও পড়ুন: বল ভেবে বোমায় হাত, খাস কলকাতায় বিস্ফোরণে হাত উড়ল কিশোরের]
প্রসঙ্গত, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC) রেকর্ড ভোটে জিতে ফের ক্ষমতা দখল করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) দলের এই সাফল্য় চমকে দিয়েছে অনেককেই। বলা হয়, তার অনেকটা কৃতিত্বই প্রশান্ত কিশোরের। তাঁর স্থির করে দেওয়া রণকৌশলেই একুশে তৃণমূলের বিজেপি ‘বধ’ এবং প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা।
[আরও পড়ুন: দলের টানাপোড়েনের মাঝেই চর্চায় মমতা, টুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে #SeshKathaDidiBolbe]
কিন্তু সম্প্রতি ভোটকুশলী পিকে-র সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দলের কোর কমিটির একটা বড় অংশ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিরা এ নিয়ে আপত্তি তুলে সরাসরি দলনেত্রীকেই নালিশ জানান। এ নিয়ে এই মুহূর্তে কার্যত আড়াআড়ি ভাগ। সেই সমস্যা মেটাতে আজ কালীঘাটে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পিকে’র সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি। তার আগে শুক্রবার রাতে আই-প্যাকের নয়া দাবি ঘিরে আলোচনার যথেষ্ট অবকাশ তৈরি হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।