সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সালের থেকে এবার আরও শক্তিশালী হয়েছে বিজেপির পক্ষে জনসমর্থনের ঢেউ। রবিবার জম্মুর কাঠুয়াতে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে এই দাবিই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি গত ১১ তারিখ প্রথম দফায় জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা এবং জম্মুতে প্রচুর ভোট পড়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, “এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আপনারা জঙ্গি নেতা ও সুযোগসন্ধানীদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন-মথুরায় ১১০ ফুট গভীর কুয়ো থেকে উদ্ধার পাঁচ বছরের শিশু]
কাশ্মীরের মাটি থেকে পণ্ডিতদের বিতাড়িত করার জন্য সরাসরি কংগ্রেসকে দায়ী করেন তিনি। বলেন, “কংগ্রেসের নীতির জন্যই উপত্যকা থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। কিন্তু, গৃহহারা পণ্ডিতদের কাশ্মীরের পৈত্রিক ভিটেতে ফেরানোর বিষয়ে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
[আরও পড়ুন-মোদির বিরুদ্ধেই ভোটে লড়বেন প্রধানমন্ত্রীর মতো দেখতে এককালের ‘ভক্ত’]
সম্প্রতি ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির বিরোধিতা ও জম্মু-কাশ্মীরের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রীর দাবি করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এজন্য তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “আবদুল্লা এবং মুফতি পরিবার কাশ্মীরের তিনটি প্রজন্মকে শেষ করে দিয়েছে। তাই এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন- রাফালে চুক্তির পর আম্বানির সংস্থার কর মুকুবের দাবি খারিজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের]
রবিবারের সভা থেকে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং কেন উপস্থিত ছিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মোদি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবারভক্ত বলে কটাক্ষও করেন। তাঁর অভিযোগ, “দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জালিয়ানওয়ালাবাগে গিয়ে শহিদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেও সেসময়ে দেখা মেলেনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর। তবে পরে রাহুল গান্ধী যখন সেখানে যান তখন তিনিও সেখানে গিয়েছিলেন। আসলে দেশভক্তির বদলে অমরিন্দর সিং পরিবার ভক্তিতেই আস্থা রেখেছেন। তাই উপরাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানের সময় না গিয়ে তিনি নামদার (রাহুল গান্ধী)-এর সঙ্গে জালিয়ানওয়ালাবাগে গিয়েছিলেন। এটাই ‘রাষ্ট্রভক্তি’ ও ‘পরিবারভক্তি’-র মধ্যে তফাত।”
[আরও পড়ুন-‘প্রতিপক্ষকে দুর্বল মনে করি না’, একান্ত সাক্ষাৎকারে অকপট প্রিয়া দত্ত]
এরপরই এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আরও বেশি আসনে জিতবে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা অনুযায়ী গতবারের থেকেও এবার বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি। আমিও আশাবাদী যে কংগ্রেস যতগুলো আসনে জিতবে তার তিনগুণ আসন পাবে বিজেপি।”
[আরও পড়ুন-ভিন জাতের ছেলেকে বিয়ের শাস্তি, স্বামীকে কাঁধে নিয়ে ঘুরলেন যুবতী]
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা ও বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে কথা বলতে গিয়েও কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় সেনার বীরত্বে কোনওদিনই বিশ্বাস ছিল না কংগ্রেসের। এখন ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইক নিয়েও সন্দেহপ্রকাশ করছে তারা।
এদিকে কাঠুয়ার সভায় তাঁর দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। টুইট করেন, “কাঠুয়ার সভা থেকে জালিয়ানওয়ালাবাগ নিয়ে আপনার মন্তব্য আমাকে বিস্মিত করেছে। একটি দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন আপনি। দুবছর ধরে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে একসঙ্গে অনুষ্ঠান করার আবেদন জানানো হচ্ছিল। কিন্তু, তা না করে আপনার সরকারই আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এখন উলটে আমাদেরই দোষারোপ করছেন।”
The post ২০১৪ সালের থেকেও শক্তিশালী বিজেপির হাওয়া, জনসভায় দাবি নরেন্দ্র মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.