সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোন ফুলে মুকুল? এ প্রশ্নেই সোমবার রাত থেকে উত্তাল হয় বঙ্গ রাজনীতি। মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রাকে কেন্দ্র করে মুহুর্মুহু নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে। ছেলে শুভ্রাংশু রায় দাবি করেন তাঁর বাবাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক সাফ জানিয়ে দেন, তিনি স্বেচ্ছায় দিল্লি গিয়েছেন। কেউ তাঁকে জোর করেননি। এবার বিধাননগর পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশকেও একই কথা বললেন তিনি। সেই সঙ্গে শুভ্রাংশুর তোলা যাবতীয় অভিযোগও খারিজ করে দিলেন।
মুকুল জানান, দিল্লিতে একাধিক রাজনৈতিক কাজ নিয়েই গিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও। পাশাপাশি এও দাবি করলেন, তিনি কখনওই তৃণমূলে ছিলেন না। বিজেপির হয়েই কাজ করতে চান। বর্ষীয়ান নেতার কথায়, “আমি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে কোনওদিনই ছিলাম না। তৃণমূলে থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজ করাও যায় না। আমি বিজেপির হয়েই আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে চাই। সেই আরজিই নাড্ডাজি, শাহজিকে জানাব।”
[আরও পড়ুন: ‘তুই বাঁচবি তো?’, TMC সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে হুমকি মেসেজ পাঠিয়ে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা]
মঙ্গলবারও একইরকম ভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও মুকুল রায়ের ‘অসংলগ্ন’ কথা ধরা পড়েছিল। তিনি বলেন, “আমি বিজেপির লোকসভার সাংসদ। বরাবরই সাংসদ ছিলাম। কোনওদিন বিধায়ক ছিলাম না। লোকসভার অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে এসেছি।” এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, “সিপিএমকে বাংলা থেকে হঠানোই আমাদের উদ্দেশ্য। সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে।”
এদিকে মুকুল রায় প্রসঙ্গে তৃণমূল তথা শুভ্রাংশু রায়কে খোঁচা দিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। বলেন, “আমার মনে হয়, বাড়ির লোকের অত্যাচারে উনি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। উনি বাড়িতে খুব কষ্টে ছিলেন। ছেলে অত্যাচার করে। দলের কাছেও তিনি খুব সুখী নন। পীযুষ কানোরিয়ার নামও আসছে। ওনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কি সম্পর্ক জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।” পালটা কুণাল ঘোষ বলে দিয়েছেন, মুকুল রায় কী করছেন কিংবা কী করতে চান, তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই তৃণমূলের।