সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যেতেই দেশে ফিরছেন। তার কয়েকঘণ্টা আগেও শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে স্বমহিমায় বিচরণ করলেন কাফু (Cafu)। যেমনটা দেখা যেত তাঁকে একদা ব্রাজিলের (Brazil) জার্সিতে, স্বচ্ছন্দের রাইট ব্যাক পজিশনে থেকে ফুটবলের সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে দিতেন জোগো বোনিতোর মোহমায়া।
মর্ডান স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের ক্লাস নিতেই সোমবার বারাসতে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল অধিনায়ক। আর ক্যাম্পাসে পা রেখেই মন জিতলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। সামনেই বিশ্বকাপ। নিজেই সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘‘আমি জানি কলকাতা সহ গোটা ভারত ফুটবলকে কত ভালবাসে। আমি এটাও জানি বিশ্বকাপে ভারত খেলছে না। তাই তোমাদের (পড়ুয়াদের দিকে হাত মেলে) বলব, ব্রাজিলকে সাপোর্ট করো। এবার যেন আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারি।’’ আরও বললেন, ‘‘ভারত যখন বিশ্বকাপ খেলবে, আমি নিজে ভারতীয় দলের হয়ে গলা ফাটাব।’’ ৫২ বছরের ব্রাজিলীয় কিংবদন্তিকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সমিত রায়, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নবীন দাস, অ্যাডামাসের স্পোর্টিং ডিরেক্টর রঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা।
[আরও পড়ুন: ‘বাহান্নতেও তুমি এত ফিট কী করে’, ইডেনের আড্ডায় কাফুকে বললেন সৌরভ]
কাফুর ‘ক্লাস’ করার জন্য তখন অধীর অপেক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বকাপজয়ী সাম্বা তারকাকে চোখের সামনে দেখে উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙার উপক্রম পড়ুয়াদের। কাফু তখন অবশ্য পুরোদস্তুর শিক্ষকের ভূমিকায়। চ্যান্সেলর সমিত রায়ের হাত থেকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় আর স্মারক সম্মানে সংবর্ধিত হলেন। পাশাপাশি অ্যাডামাস অধ্যক্ষের হাতে তুলে দিলেন নিজের আত্মজীবনী ‘কাফু’ বইটি, যার লেখিকা আবার সাম্বা তারকার সহধর্মিনী মারিয়া ক্রিস্টিনা। তারপর দোভাষী-সঙ্গী এডুকে পাশে নিয়েই পড়ুয়াদের উদ্দেশে বললেন, ‘‘নিজের স্বপ্নকে যত্নের সঙ্গে লালন করো। স্বপ্নকে কখনও অবহেলা করবে না। জীবনে যা-ই হও, মনে রেখো শিক্ষার মূল্য অপরিসীম। তাই সবার আগে নিজেকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’’
পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটিয়েই অ্যাডামাসের ফুটবলারদের সঙ্গে মাঠে পরিচয়পর্ব সারলেন কাফু। সেখান থেকেই রওনা দিলেন ইডেনের উদ্দেশে। নেপথ্যে রেখে গেলেন একরাশ মুগ্ধতা। যাতে আবিষ্ট হয়ে থাকল অ্যাডামাসের শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী – গোটা ক্যাম্পাস।