সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কের মধ্যেই রাফালে ইস্যুতে বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া সাফ জানিয়ে দিলেন ফ্রান্সের সংস্থা দাসল্ত কাকে বরাত দেবে তা ভারত সরকার বা বায়ুসেনা কেউই নির্ধারণ করেনি। বায়ুসেনা প্রধান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “দাসল্ত-ই ঠিক করেছে কে তাদের সঙ্গী হবে এবং সরকার বা বায়ুসেনা এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি।”
[বড় সাফল্য সেনার, কাশ্মীর থেকে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র]
একই সঙ্গে এদিন রাফালে যুদ্ধবিমানেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বায়ুসেনা প্রধান বলেন, ” বায়ুসেনায় অন্তর্ভূক্ত হলে রাফালে একটা গেমচেঞ্জার হবে, বিমানের সঙ্গে ভাল অস্ত্রও আমরা পেয়েছি, আমাদের অনেকরকম অ্যাডভান্টেজ আছে, পুরো চুক্তিটাই ভারতের পক্ষে ভাল। আগামিদিনে ফ্রান্সের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা পাওয়া যাবে।” কিন্তু হ্যালকে চুক্তি থেকে কেন বাদ দেওয়া হল, সরকারি সংস্থাটি কি রাফালে তৈরিতে সক্ষম নয়? এ প্রশ্নের উত্তরে বায়ুসেনা প্রধান বললেন, “গত কয়েকবছর ধরে নির্দিষ্ট সময়েই যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে হ্যাল। তবে তাদের ডেলিভারি দিতে দেরি হচ্ছে, গাফিলতি দেখা গিয়েছে, সুখোই ৩০, জাগুয়ার, মিরেজ ২০০-র আপগ্রেটেড ভার্সানের ক্ষেত্রে এই ঘটনা লক্ষ করা গিয়েছে।”
[এবার রাষ্ট্রসংঘ স্বীকৃতি দিচ্ছে মোদিকে, সেরার পুরস্কার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী]
যুদ্ধবিমান কিনতে এত তাড়াহুড়ো করে কয়েকদিন আগে তৈরি হওয়া সংস্থাকে কেন বরাত দেওয়া হল? এ প্রসঙ্গে বায়ুসেনা প্রধানের সাফাই, “আমাদের কাছে তিনটি বিকল্প ছিল, প্রথম, কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা, দ্বিতীয়, পুরো চুক্তিটাই বাতিল করে দেওয়া, এবং তৃতীয়, জরুরি ভিত্তিতে রাফালে চুক্তি সম্পন্ন করা। আমরা জরুরি ভিত্তিতে চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিই কারণ, রাফালে এবং S-400 দুটিই বায়ুসেনার বড় শক্তি হতে চলেছে।” এয়ার চিফ মার্শালের এই ঘোষণার পর রাফালে ইস্যুতে সরকারের অস্বস্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, বায়ুসেনা প্রধানের নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারটাকে ভালভাবে দেখছে না বিরোধীরা। মুখে কিছু না বললেও, বিরোধী শিবিরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সরকার যেভাবে সেনা আধিকারিকদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করছে তা নিন্দনীয়।
The post রাফালে যুদ্ধবিমান ‘গেমচেঞ্জার’, দরাজ সার্টিফিকেট বায়ুসেনা প্রধানের appeared first on Sangbad Pratidin.