নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সরানো হল সিউড়ির আইসি মহম্মদ আলিকে। তাঁকেই সম্প্রতি দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। ডিইবিতে পাঠানো হল তাঁকে। একইসঙ্গে বদল করা হল দুই ইন্সপেক্টরকে। রামপুরহাট, সিউড়িতে নতুন আইসি আসছেন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্য থেকে রুটিন মাফিক এই বদলি করা হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল আগেই। যদিও গত প্রায় দেড় বছর ধরে সিউড়ি থানার দায়িত্ব পালন করেছেন আলি। তাঁর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গরু পাচার চক্রে তাঁর নাম জড়িয়ে বারেবারে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে কলকাতায় সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কয়লা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফলে সিউড়ি সদর থানার মতো গুরুত্বপূর্ণ থানায় তাঁকে রেখে বিতর্ক বাঁচাতে সদরেই এনফোর্সমেন্টের শাখায় ইন্সপেক্টর পদে বদলি করা হল। দীর্ঘদিন ধরে ওই পদটি খালি ছিল।
[আরও পড়ুন: বারাসতে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল থেকে হামলা-মারধর, জখম অন্তত ৫ পুলিশ কর্মী]
অন্যদিকে বগটুইয় কাণ্ডের পর রামপুরহাটের আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে রাতারাতি সরিয়ে দেবাশিস চক্রবর্তীকে আনা হয়। একবছর সামাল দেওয়ার পরে তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিআইবিতে বদলি করা হয়। একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নীলোৎপল মিশ্রকে আনা হয় রামপুরহাটের আইসি হিসাবে। বর্ধমান কোর্ট ইন্সপেক্টরের পদ থেকে দেবাশিস ঘোষকে সিউড়ির আইসি হিসাবে আনা হল।
উল্লেখ্য নীলোৎপল ও দেবাশিস ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলার অভিজ্ঞতা থাকা অফিসারকে নিয়ে এসে সুষ্ঠ নির্বাচন করাতে চাইছে পুলিশ। একইসঙ্গে আলিকে সরিয়ে বিতর্ক তৈরি করা বিজেপির হাতের অস্ত্র সামলে রাখল পুলিশ।