দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৯৯/৭ (হেনরিক ক্লাসেন ১০৯, রেজা হেন্ড্রিক্স ৮৫, ভ্যান ডার ডুসেন ৬০, মার্কো জ্যানসন ৭৫*, রিস টোপলে ৩/৮৮)
ইংল্যান্ড: ১৭০ (কোয়েটজি ৩/৩৫, এনগিডি ২/২৬, মার্কো জ্যানসন ২/৩৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও হারল মানল গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ব্যাটিং-বোলিং, সব বিভাগেই ব্যর্থ হল জস বাটলারের দল। প্রথমে ব্যাট করে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের বাইশ গজে ঝড় তুলে দেয় প্রোটিয়ারা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৯৯ রান তুলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় জো রুট, বেন স্টোকসদের ইনিংস। ফলে ২২৯ রানে লজ্জার হার হজম করল সাহেবরা।
হেনরিক ক্লাসেন শতরান করে নজর কাড়লেন। তবে এই জয়ে মার্কো জ্যানসনের ভূমিকাও অনেক বড়। কারণ ব্যাটিং-বোলিং, দুই বিভাগেই দাপট দেখালেন এই তরুণ। আর এদিকে এমন লজ্জার হার হজম করার জন্য, ইংল্যান্ডের সেমি ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়ে গেল। কারণ নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও হারল ইংল্যান্ড।
নিজেদের শেষ ম্যাচে ডাচদের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। বিজয়রথ যেভাবে বিশ্বকাপে ছুটছিল, তাতে কিছুটা বাধা এসেছিল। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফের সেই পুরনো মেজাজে পাওয়া গেল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলকে। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এদিনের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছে প্রোটিয়া বাহিনী। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৩৯৯ রান তুলে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
[আরও পড়ুন: সমরবিক্রমার ‘বিক্রম’-এ জলে গেল সিব্র্যান্ড-ভ্যান বিক-আরিয়ানের লড়াই, ডাচদের হারিয়ে প্রথম জয় পেল শ্রীলঙ্কা]
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জস বাটলার। রেজা হেন্ড্রিক্স ও ডি কক নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। ফর্মে থাকা ডি কক এদিন মাত্র ৪ রানে ফিরলেও রেজা ছিলেন দুরন্ত ছন্দে। ৭৫ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ৯টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ভ্যান ডার ডুসেনও ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। এদিন তেম্বা বাভুমা না খেলায় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এইডেন মারক্রাম। তিনি ৪২ রান করে আউট হন।
তবে ওয়াংখেড়েতে এরপরই শুরু হয় হেনরিক ক্লাসেনের শো। ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন হেনরিক ক্লাসেন। তিনি ১২টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন মার্কো জ্যানসন। তিনি ৪২ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। নিজের ইনিংসে বাঁহাতি প্রোটিয়া পেসার ৩টি বাউন্ডারি ও পেল্লাই ৬টি ছক্কা হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান বোর্ডে তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্য়ান্ডের বোলারদের মধ্যে রিস তোপলে ৩ উইকেট নিলেও নিজের ৮.৫ ওভারে ৮৮ রান খরচ করেন তিনি। গাস অ্যাটকিনসন ও আদিল রশিদ ২টো করে উইকেট নেন। এর পর বাকিটা সময় প্রোটিয়ার বোলাররাও দাপট দেখালেন। ফলে চলতি কাপ যুদ্ধে আরও একবার লজ্জার হার হজম করল ইংল্যান্ড। আর এমন হারের জন্য এবার সেমি ফাইনালের রাস্তা কঠিন হয়ে গেল জস বাটলারদের।