সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের ফিটনেস নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে দারুণ ফিট হতে হয়। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সে সব না ভেবে নিজেদের মতো করে চলেন। পিজ্জা, বার্গার খান নিজেদের ইচ্ছামতো। এমন সমালোচনা অবশ্য নতুন নয়।
সরফরাজ যখন পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন, তখন তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং হত। সরফরাজ সম্পর্কে মিম ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর সম্পর্কে খবরে প্রকাশিত হয়েছিল, বিরিয়ানি খেয়ে খেলতে নামেন। খেলার পরে তিন-চার জন একসঙ্গে রোস্তরাঁয় গিয়ে নৈশভোজ করেন। জোম্যাটো একবার পাকিস্তানিদের টীপ্পনী কেটে বলেছিল, আজ মেন্যুতে কী আছে! পিজ্জা, বার্গার খেয়ে খেয়ে ফিটনেসের দফা রফা করেন পাক ক্রিকেটাররা। এরকম অভিযোগ ছিল আগে। এখনও আছে।
শাহিদ আফ্রিদির (Shahid Afridi) মতো প্রাক্তন পাক অধিনায়ক সেই প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করে বলছেন, ”আমি জানি কিছু প্লেয়ারকে পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে ডেকেছে। তাদের ডায়েট এবং ট্রেনিং লক্ষ্য করা হচ্ছে। রাতে ওরা লুকিয়ে দোকানে গিয়ে বার্গার, পিজ্জা খায়। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ফিটনেস নিয়ে যদি ওরা সচেতন না হয়, তাহলে পিসিবির পক্ষেও সবসময়ে ওদেরকে চোখে চোখে রাখা সম্ভব নয়।”
[আরও পড়ুন: ‘প্লিজ রেসপেক্ট’! আজকের ক্রিকেট যুদ্ধটা না হয় বাইশ গজেই থাক]
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ICC T-20 World Cup) পাকিস্তান হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে এখনও পর্যন্ত। তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই হার মেনেছে তারা। টুর্নামেন্টে অবশ্য অঙ্কের বিচারে এখনও টিকে রয়েছে পাকিস্তান। দেশে চলছে ময়নাতদন্ত। সমালোচনা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরও (Gautam Gambhir) সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের। বাবরকে স্বার্থপর পরে উল্লেখ করে গৌতম গম্ভীর বলেছেন, ”বাবরের উচিত দেশের জন্য খেলা। ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে নামিয়ে আনা উচিত বাবরের। তার পরিবর্তে ফকর জামানকে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা উচিত। বাবর আর রিজওয়ান পাকিস্তানের হয়ে ওপেন করে এবং রেকর্ড গড়ে। একে স্বার্থপরতা বলে। নেতা হতে গেলে, দলের কথা ভাবতে হয় আগে।”
গম্ভীরের সঙ্গে আফ্রিদির সম্পর্ক ভাল নয়। গম্ভীরের এহেন মন্তব্যকে ভাল ভাবে নেননি আফ্রিদি। তিনি বলেন, ”টুর্নামেন্টের শেষে বাবরকে ওর (গম্ভীর) সম্পর্কে কিছু বলতে বলবো। ওকেও (গম্ভীর) তো দেশে ফিরতে হবে, তাই না। সবসময়ে সমালোচনা। কিন্তু শব্দ চয়ন নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। এমন শব্দ ব্যবহার করা উচিত যা প্লেয়ারদের কাছে পরামর্শ বলেই মনে হয়। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও যাতে বুঝতে পারে, সেটাও দেখতে হবে। বাবর পাকিস্তানকে একাধিক ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স দিয়েছে। যে ধারাবাহিকতার সঙ্গে ব্যাট করেছে বাবর, তা অনেক পাকিস্তানি ব্যাটারও পারবে না। হয়তো পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারেনি বাবর, সেই কারণেই এখন এত সমালোচনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।” পাক ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা চলছেই।