সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ফর্ম নিয়ে গত কয়েক দিন সোশ্যাল মিডিয়া, সংবাদমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই তাঁর ফর্ম নিয়ে সমালোচনা করছিলেন। সেই সব সমালোচকদের জবাব দিয়ে রানে ফিরলেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul)। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করলেন ভারতীয় ওপেনার। তবে ফের অনবদ্য ইনিংস খেলে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এই দুই ব্যাটারের অর্ধশতরানে ভর করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৮৪ রানের বড় ইনিংস গড়ল ভারত। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫ রান।
অ্যাডিলেডে বিরাটদের নামার আগে থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা যাচ্ছিল। বৃষ্টির সম্ভাবনা যে রয়েছে, সেটা আগেই জানতেন শাকিবরা (Shakib Al Hasan)। সম্ভবত সেকারণেই এদিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব-আল হাসান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। এদিন ফের হতাশ করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Shamra)। মাত্র দু’রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। সেই এশিয়া কাপ থেকে লাগাতার ব্যর্থ হচ্ছেন রোহিত। রাহুল-বিরাটদের ফর্ম নিয়ে আলোচনার মাঝে রোহিতের ফর্ম নিয়ে সেভাবে কথা হয়নি। কিন্তু ব্যাট হাতে ভারত অধিনায়কের টানা ব্যর্থতাও কিন্তু বেশ উদ্বেগের।
[আরও পড়ুন: ‘প্লিজ রেসপেক্ট’! আজকের ক্রিকেট যুদ্ধটা না হয় বাইশ গজেই থাক]
রোহিত শুরুতে আউট হলেও যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই কে এল রাহুল চাপের মুখে ঝলসে ওঠেন। রোহিতের উইকেটের পরই পালটা আক্রমণের পথে হাঁটেন তিনি। মাত্র ৩২ বলে ৫০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন। ৫০ রানের ইনিংসে ৪টি ছক্কাও হাঁকান তিনি। ঘটনাচক্রে রাহুলের ব্যাট থেকে যেদিন রান এল, ঠিক তার একদিন আগেই কোহলিকে দীর্ঘক্ষণ তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে। কীভাবে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে হবে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন বিরাট। তাঁর সেই পরামর্শে যে কাজ হয়েছে, সেটা রাহুলের ইনিংসই প্রমাণ করছে।
[আরও পড়ুন: অ্যাডিলেডে আজ গঙ্গা বনাম পদ্মা, নতুন এশীয় ‘ডার্বি’তে কাঁটা বৃষ্টি]
রাহুল যখন বাংলাদেশ বোলারদের শাসন করছেন, সেসময় কোহলি ধীরে-সুস্থে খেলছিলেন। রাহুল আউট হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav) অবতীর্ণ হন সংহারকের ভূমিকায়। মাত্র ১৫ বলে ৩০ রান করেন তিনি। কিন্তু সূর্য আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। দ্রুত আউট হন অক্ষর প্যাটেল এবং দীনেশ কার্তিক। বেগতিক বুঝে শেষদিকে মারমুখী অবতারে ধরা দেন বিরাট। শেষপর্যন্ত মাত্র ৪৪ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। এই অনবদ্য ইনিংসের দিন বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন বিরাট। মহেলা জয়বর্ধনেকে টপকে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। শেষদিকে ৬ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন অশ্বিনও। সব মিলিয়ে ভারত ২০ ওভারে তোলে ১৮৫ রান।