নেদারল্যান্ডস: ১৫৮-৪ (অ্যাকেরম্যান ৪১, কুপার ৩৫)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৪৫-৮ (রুসো ২৫, ক্লাসান ২১)
নেদারল্যান্ডস ১৩ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা পরিচিত ‘চোকার্স’ হিসাবে। এই ‘চোকার্স’ তকমা তাদের কেন দেওয়া হয়, সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পচা শামুকে পা কাটল প্রোটিয়াদের। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডের কাছে ১৩ রানে হেরে গেলেন ডি’ককরা। ফলে টুর্নামেন্টের শুরুতে যে দলটিকে অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) সেমিফাইনালের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল। সেই সঙ্গে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের।
রবিবার বিশ্বকাপের (ICC T-20 World Cup) অপেক্ষাকৃত নিরামিষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস তোলে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। ডাচদের প্রথম চার ব্যাটারই ভাল পারফর্ম করেন। তবে আলাদা করে নজর কাড়েন অ্যাকেরম্যান। মাত্র ২৬ বলে ৪১ করেন তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪৫ রানেই আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চাপের মুখে কোনও প্রোটিয়া ব্যাটারই দাগ কাটতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা হারে ১৩ রানে।
[আরও পড়ুন: ভিনু মানকড়ের পাশে দাঁড়িয়ে মানকাডিংকেই ‘স্বীকৃতি’ দিয়েছিলেন ক্রিকেটের আদিপুরুষ ডব্লিউ জি গ্রেস]
দক্ষিণ আফ্রিকা এদিন জিতলেই সেমিফাইনালে নিশ্চিত চলে যেত। সেক্ষেত্রে আজ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতকে জিততে হত। আবার পাকিস্তান (Pakistan) এবং বাংলাদেশ (Bangladesh) কার্যত ছিটকে যেত বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে সব সমীকরণ বদলে দিল প্রোটিয়ারা। ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্টেই আটকে গেল তাঁরা। ফলে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ যদি বৃষ্টিতে ভেস্তে না যায়, তাহলে সেমিফাইনালে খেলার আর কোনও সম্ভাবনা থাকবে না বাভুমাদের।
[আরও পড়ুন: নজরে ভারতের পরমাণু মিসাইল টেস্ট! সমুদ্রে ওঁত পেতে চিনা নজরদারি জাহাজ]
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার এই হারে ভারতের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল। ৪ ম্যাচে ভারতের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। যদি শেষ ম্যাচে ভারত জিম্বাবোয়ের (Zimbabwe) কাছে হেরেও যায়, তাতেও গ্রুপ-২ থেকে অন্তত দ্বিতীয় স্থান দখল করে সেমিফাইনালে চলে যাবে ভারত। অন্যদিকে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকাপের সেমিতে খেলার রাস্তা খুলে গেল। পরিস্থিতি এমনই যে, এই ম্যাচে যারা জিতবে তাঁরাই ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিতে চলে যাবে।