সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও একটা ভারত-পাক মহারণ। দুদেশের রথী-মহারথীদের স্নায়ুর লড়াই। এমনিতে ইদানিংকালের আর পাঁচটা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো রবিবারের লড়াইয়েও খাতায়কলমে এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু মহারণের আড়ালে এমন কিছু টুকরো যুদ্ধ রবিবার দেখা যাবে, যা বদলে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য।
রোহিত শর্মা বনাম শাহিন আফ্রিদি: বাঁহাতি পেসাররা ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে বেশ সমস্যায় ফেলেন ভারত অধিনায়ককে। বিশেষ করে গতিশীল সুইং বোলার যদি হন, তাহলে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয় রোহিতকে (Rohit Sharma)। যেমনটা শাহিন আফ্রিদি অতীতে খাইয়েছেন রোহিতকে। এ পর্যন্ত রোহিত-শাহিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছেন ৬ বার। ৩ বার পাক পেসার আউট করেছেন হিটম্যানকে। মোট ৫২ বলে মাত্র ৬২ রান করেছেন রোহিত।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাক মহারণের আগে রোহিতের চিন্তায় পিচ, পেস বিভাগই ভরসা বাবরের]
বিরাট কোহলি বনাম মহম্মদ আমির: রোহিতের মতো বিরাটেরও নতুন বলে বাঁহাতি পেসারদের সামলাতে সামান্য সমস্যা হয়। আর পাকিস্তান শিবিরে শাহিন আফ্রিদির (Shahin Afridi) পাশাপাশি রয়েছে মহম্মদ আমিরের মতো বিশ্বমানের বোলার। আমিরের বিরুদ্ধে বিরাটের রেকর্ডও খুব একটা ভালো নয়। এ পর্যন্ত ৬ সাক্ষাৎকারে বিরাটকে দুবার আউট করেছেন আমির। ৬০ বলে মাত্র ৫৬ রান করেছেন টিম ইন্ডিয়া পোস্টার।
ঋষভ পন্থ বনাম শাদাব খান: ২ ইনিংস দুবারই আউট। ১৫ বলে ১৭ রান। গড় মাত্র সাড়ে আট। পাক স্পিনার শাদাব খানের বিরুদ্ধে এই হল টিম ইন্ডিয়ার (Team India) অন্যতম ভরসার ব্যাটার পন্থের রেকর্ড। রবিবার ভারতকে জিততে হলে এই রেকর্ড বদলাতে হবে।
বাবর আজম বনাম জশপ্রীত বুমরাহ: বাবরের সামনে টি-টোয়েন্টিতে বুমরাহর রেকর্ড তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। কিন্তু গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাক অধিনায়ককে নাস্তানাবুদ করে দেন বুমরাহ। তাছাড়া ভারতীয় পেসার এখন যা ফর্মে তাতে বাবরের পক্ষে তাঁকে সামলানো চাপের।
[আরও পড়ুন: ইমরান থেকে সানি, বিরাট থেকে বাবর, ‘প্রদীপের’ আলোয় ভারত-পাক মহারণ]
মহম্মদ রিজওয়ান বনাম অর্শদীপ সিং: তরুণ ভারতীয় বাঁহাতি পেসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অন্যতম ভরসার জায়গা রিজওয়ানের রেকর্ড মোটেই ভালো নয়। এ পর্যন্ত ৩ টি-টোয়েন্টিতে অর্শদীপের বিরুদ্ধে ২৩টি বল খেলে মাত্র ২৩ রান করেছেন রিজওয়ান। আউট হয়েছেন ১ বার।
এই পাঁচ মূল লড়াইয়ের পাশাপাশি শাহিন বনাম বিরাট, আমির বনাম রোহিত, শাদাব বনাম হার্দিক, ফখর জামান বনাম কুলদীপ যাদবদের লড়াইয়েও নজরে থাকবে। এই লড়াইগুলিই ঠিক করে দিতে পারে রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচের ভাগ্য।