সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে কোভ্যাক্সিনের (Covaxin)। কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কিন্তু এমন দাবিকে নস্যাৎ করে দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর।
কী বলা হয়েছিল নয়া রিপোর্টে? সেখানে দাবি করা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়া ৯২৬ জনের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। অনেকেরই স্ট্রোক হয়েছে। অনেকেই বারা গুলিয়ান-বার সিনড্রোমের মতো ভয়ংকর নার্ভের অসুখে ভুগেছেন। তাছাড়াও চর্মরোগ, রক্ত জমাট বাঁধার মতোও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে চর্মরোগ হয়েছে ১০.৫ শতাংশের। মহিলার দেহে ভ্যাকসিনের প্রভাবে ঋতুস্রাবজনিত নানা সমস্যা দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: CCTV ফুটেজ বাজেয়াপ্তর পর এবার স্বাতীর পোশাক পাঠানো হল ফরেনসিক তদন্তে]
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপকের লেখা গবেষণাপত্রকে উড়িয়ে দিয়েছে আইসিএমআর (ICMR)। তাদের দাবি, ওই গবেষণাপত্রে যে পর্যবেক্ষণ তার পিছনে রয়েছে 'ভুল মেথডোলজি'। আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব বহেল জানিয়েছেন, যেহেতু টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের তথ্যের সঙ্গে যথাযথ তুলনা করা হয়নি, তাই ওই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে কোনওভাবেই কোভিড-১৯ টিকা তথা কোভ্যাক্সিন টিকার সঙ্গে যুক্ত করা যায় না।
তাছাড়া তাঁর আরও দাবি, ওই গবেষণাপত্রে কত জনসংখ্যাকে প্রেক্ষাপটে রেখে ওই সমীক্ষা করা হয়েছে তাও বলা হয়নি। শুধু তাই নয়। কেবল ফোন করেই কথা বলা হয়েছে এবং সেটাও টিকাকরণের এক বছর পরে। তাছাড়া প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করেও দেখা হয়নি। এদিকে কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেকও এই গবেষণা নিয়ে মুখ খুলেছে। অন্যান্য বহু গবেষণাপত্রের উল্লেখ করে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি টিকার ট্র্যাক রেকর্ড সম্পূর্ণ নিরাপদ।