সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরের বেকারির ঐতিহ্যের খবর যাঁরা রাখেন, কুকি জার (Kookie Jar) নামটি তাঁদের কাছে পরিচিত। মোচা বিসকিট, চকোলেট মাউসি, লেমন টার্টস, চিকেন এনভেলপ থেকে মাশরুম প্যাটি – কত কিছুই সাজিয়ে দিয়েছে খাদ্যরসিকদের পাতে। মিষ্টি এই স্বাদে না জানি কতবার জন্মদিন পালন করেছেন বাংলা সিনেমায় মায়েস্ত্রো সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray)। তাঁর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে যখন সিনেপ্রেমীরা ব্যস্ত, তখন বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী বেকারিটি (Kolkata Bakery)।
করোনার (Corona Virus) কারণে বিক্রি বাট্টা তেমন নেই। তার উপরে কিছুদিন আগে সরকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছে সকাল সাতটা থেকে বেলা দশটা পর্যন্ত এবং বেলা তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। এমন পরিস্থিতিতে কুকি জার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছে মালিকপক্ষ।
[আরও পড়ুন: করোনার কবলে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির গোটা পরিবার, রেহাই পায়নি ছোট্ট মেয়ে সামিশাও]
১৯৮৫ সালে দুই বোন লাভি এবং পূজা কাপুর মিলে তৈরি করেছিলেন কুকি জার। শহরের মহিলা ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম দু’জন। অল্প সময়েই তাঁদের মিষ্টি স্বাদের গুণের কথা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে বেকারিটি। গত বছরের মার্চ মাসে যখন কোভিড ১৯ (COVID-19) ভাইরাস প্রথম শুরু হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামাল দিয়েছিল কুকি জার। নিউ নর্মালেও পাওয়া গিয়েছে কেক-পেস্ট্রি-প্যাটি। কিন্তু অতিমারীর এই দ্বিতীয় ধাক্কা আর সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বেকারির পক্ষ থেকে লাভি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নতুন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সবসময় বেকারি খোলা রাখা সম্ভব নয়। ফলে যা বিক্রি হত, তাও আর সম্ভব হচ্ছে না। সকাল সাতটায় কেউ কেক কিনতে আসেন না। এদিকে কর্মীদের সকলকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অনলাইন ডেলিভারিতেও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। সেই কারণেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কবে আবার খুলবে কুকি জার? সেই সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন লাভি। পরিস্থিতি যবে ঠিক হবে এবং রাজ্য সরকার এই সংক্রান্ত নতুন কোনও ঘোষণা করবে, তবে হয়তো আবার ভেবে দেখা যাবে। কিন্তু তার আগে কিছুই বলা সম্ভব নয় বলে জানালেন লাভি।