সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি যদি শিল্প হয় তাহলে সেই শিল্পীদের সন্ধান পাওয়া যাবে কংগ্রেসেই। একদিকে মধ্যপ্রদেশের টালমাটাল রাজনীতি অন্যদিকে ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্ণধার রানা কপুরের কাছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আঁকা ছবি বিক্রি করা নিয়ে এইভাবে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র।
সম্বিত পাত্র জানান, “সত্য কখনও ঢেকে রাখা যায় না। সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে প্রকাশ পায় কীভাবে গান্ধী পরিবার ওই ছবিটি কেনে ও ইয়েস ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাকে তা বিক্রি করে। এমনকি ছবিটির জন্য কী পরিমাণ টাকা নেয়। যেখানেই দুর্নীতি দেখুন, কেলেঙ্কারি দেখুন সবকিছুর সত্যতা যাচাই করতে গেলে ঠিক সেই জায়গাগুলোতে কংগ্রেসের নাম উঠে আসবে। কখনওই কেলেঙ্কারি বা দুর্নীতি থেকে কংগ্রেসের নাম আলাদা করা যাবে না। তাই দুর্নীতিকে যদি শিল্পে পরিণত করা যায় তাহলে তা কংগ্রেসের কর্মীরাই শেখাতে পারেন। মকবুল ফিদা হুসেন যদি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ চিত্রকর হিসেবে পরিচিত হন তাহলে কংগ্রেস আজ পরিচিত হবে দুর্নীতির জন্য।” বারংবার প্রশ্ন উঠে আসে কীভাবে একটা ছবি ২ কোটি টাকা দিয়ে কেনার জন্য ইয়েস ব্যাংকের কর্ণধারকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজি করালেন? এরপরই নানা প্রশ্নে কংগ্রেসকে বিঁধতে থাকেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র।
তিনি প্রশ্ন করেন, “১৯৮৫ সালে তৎতালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে উপহার দেওয়া মকবুল ফিদা হুসেনের ছবি কীভাবে গান্ধী পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে ওঠে? প্রধানত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তা কীভাবে নিজের বলে মনে করেন?” প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এই আচরণকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মডিউলের সঙ্গে তুলনা করেছেন সম্বিত পাত্র। পাশাপাশি ছবি বিক্রির সঙ্গে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী জড়িত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে বলেন, “আপনি যখন একটি অপরাধকে কেলেঙ্কারিতে পরিণত করছিলেন তখন আপনাকে কেউ প্রশ্ন করেনি কেন? এমনকি আপনার কেন একবারও মনে হল না যে দলকে এই বিষয়ে জবাবদিহি করতে হতে পারে?” ঘটনার আরও বিবরণ দিয়ে সম্বিত পাত্র দাবি করেন, ” ঘটনাটি আদপে দেখলে মনে হতে পারে পুরো ঘটনার জন্য দায়ী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু এর নেপথ্যে রয়েছেন বর্তমানে কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রানা কাপুরের লেখা মেসেজ থেকেই স্পষ্ট হয় তিনি সোনিয়া ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দুজনের সঙ্গেই দেখা করতে চেয়েছিলেন।আমি ৯ মার্চ ইডিকে রানা কপুরের বাড়ি থেকে সেই ছবিটি আটক করে আনতে বলি।’
[আরও পড়ুন: ‘পদবী ছাড়া কিছুই নেই’, জ্যোতিরাদিত্য ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের]
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দোলাচল পরিস্থিতি নিয়ে কমল নাথকে কটাক্ষ করেন সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, “একজন কর্মী যদি দলত্যাগ করেই দেন তাহলে তারপর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা কী? আর দলত্যাগ করার পর কাউকে কি দল বহিষ্কার করতে পারে?”
[আরও পড়ুন: ‘ঘর ওয়াপসি’, জ্যোতিরাদিত্যের বিজেপিতে যোগের সম্ভাবনায় মন্তব্য পিসি যশোধরার]
The post ‘দুর্নীতি শিল্প হলে শিল্পীরা রয়েছেন কংগ্রেসেই’, কটাক্ষ বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রের appeared first on Sangbad Pratidin.