রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধা এলে বিজেপি যে চুপ থাকবে না, বরং পালটা দেবে মঙ্গলবারই তার ইঙ্গিত দিলেন সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu), সৌমিত্র খাঁ। সাংবাদিক বৈঠকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বললেন, উলটো দিক থেকে আক্রমণ এলে, তাঁরা গান্ধীগিরি করবেন তা ভাবা ঠিক হবে না। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বক্তব্যও কার্যত একই।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে দলের নবান্ন (Nabanna) অভিযান প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, “পুলিশ যদি আমাদের বাধা দেয়। তাহলে নিশ্চয়ই পুলিশকে আমরা মিষ্টি খাওয়াব না। ওঁরা ওদের কাজ করবে, আমরা আমাদের। যুব মোর্চার এই মিছিলে হাজার হাজার যুবক হাঁটবেন। উলটোদিক থেকে ভয়ংকর আক্রমণ নেমে এলে তাঁরা যে সবাই গান্ধীজি হয়ে যাবেন, সুভাষ বোস হবেন না এটা ভাবা ভুল।” যদিও সায়ন্তনের কথায়, “বিজেপি শান্তিপূর্ণ মিছিলের পক্ষপাতী। গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার মেনেই মিছিল হবে। তবে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার একতরফা আশা করা যায় না।” এদিন তিনি বলেন, ডানকুনি, গুড়াপ-সহ বহু জায়গায় বিজেপি কর্মীদের বাস আটকে দেওয়া হবে বলে তাঁর কাছে খবর আছে। এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যেখানে আটকানো হবে। সেখানে অবরোধ হবে। অচল করে দেওয়া হবে। সোমবার কলকাতায় ট্রেলার দেখেছে। বৃহস্পতিবার বাধা দিলে পুরো সিনেমা দেখতে পাবে প্রশাসন।” পুলিশ বাধা দিলে রাজনৈতিক আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে এদিন মন্তব্য করে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
[আরও পড়ুন:করোনা কালেও ভিন রাজ্যের পুজো মাতাবে বাংলার ঢাকের বোল, ঢাকিদের পাশে প্রশাসন]
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় চার জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীরা নবান্নের উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু করবেন। বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি মিছিল হবে। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের নেতৃত্বে মিছিল হবে হেস্টিংসে ফ্লাই ওভারের নিচ থেকে। যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য নেতৃত্ব দেবেন হাওড়া ময়দান থেকে আসা মিছিলের। রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু-সহ অন্যরা সাঁতরাগাছি থেকে আসা মিছিলের নেতৃত্বে। শিল্প, কর্মসংস্থান, আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক দাবিতে বিজেপির যুব মোর্চার এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। যার সঙ্গে যোগ হবে টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনাও। বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শহরের রাজপথে ব্যাপক জমায়েত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টায় যে গেরুয়াশিবির কোনও ত্রুটি রাখবে না, রাজ্য নেতাদের বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট। ফলে নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।