সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অফিসে ভাল কাজ করলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোম্পানির তরফ থেকে পুরস্কার দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে। দেশ কিংবা বিদেশ, বেশিরভাগ বহুজাতিক সংস্থাতেই এহেন নিয়ম রয়েছে। পুরস্কার কী থাকে? কোনও দামী উপহার কিংবা কোনও স্মারক অথবা বোনাস। কিন্তু কখনও শুনেছেন ভাল কাজের জন্য কর্মচারীকে জমি কিনে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার পৃথিবীতে নয় চাঁদে?
শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি উপহারস্বরূপ চাঁদে এক একর জমি পেয়েছেন নয়ডার বাসিন্দা ইফতিকার রহমানি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা ইফতিকার কর্মসূত্রে থাকেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) নয়ডাতে (Noida)। সেখানেই তিনি একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সংস্থা চালান। নাম AR Studios। Artificial Intelligence নিয়েই মূলত কাজ সংস্থাটির। এছাড়া ইফতিকার লুনার সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গেও কাজ করেন। এই মার্কিন সংস্থাটিই চাঁদে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত।
[আরও পড়ুন: প্রত্যাশার থেকেও বেশি টাকা চুরি, হৃদরোগে আক্রান্ত আনন্দে আত্মহারা চোর]
ইফতিকার ওই মার্কিন সংস্থাটির হয়ে বহু কাজ করেছেন। একাধিক অ্যাপ তৈরিতেও তাঁদের সাহায্য করেছেন। আর সেকারণেই কোম্পানির তরফ থেকে ইফতিকারকে এক একর জমি উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই প্রথম কেউ এই ধরনের উপহার পেলেন। তাঁর এই উপহার পাওয়ার খবরে খুবই খুশি তাঁর পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশীরাও। তাঁর মাও জানিয়েছেন, ছেলের এই সাফল্যে তিনি খুবই খুশি। এর পাশাপাশি গ্রামবাসীদের মধ্যে মিষ্টিও বিলি করেছেন তিনি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে সম্প্রতি সুরাটের এক ব্যবসায়ী নিজের দু’মাসের সন্তানের জন্য চাঁদে এক একর জমি কিনেছিলেন। চাঁদের দূরের অংশ মেয়ার মোসকভিয়েন্সে ওই জমিটি কেনা হয়েছে। জমিটির আসল দাম প্রকাশ্যে না এলেও, মনে করা হচ্ছে, চাঁদে এক একর জমি কিনতে ওই ব্যক্তির ৭৫০ ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যদিও আসলে বিজয়ভাইয়ের ছেলে মোটেই ওই জমির মালিক হবে না। তবে শংসাপত্রে জমির মালিকানা থাকবে নিত্যর নামেই।