নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পাঞ্জাবের মন্ত্রী হোক নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu), এমনটাই চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ জন্য ইমরান খানের তরফে তাঁর কাছে ফোনও এসেছিল। সোমবার দিল্লিতে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি এসেছিলেন পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস প্রধান ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ৬৫ আসনে লড়াই করবে বিজেপি। এবং ৩৭ আসনে লড়াই করবে অমরিন্দরের দল। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বোমা ফাটালেন অমিরন্দর সিং। বললেন, “সিধুকে পাঞ্জাবের মন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে আমাকে ফোনও করা হয়। এমন একজন ফোন করেছিলেন, যিনি আমাকেও চেনেন আবার সিধুকেও চেনেন।” তবে কে ফোন করেছিলেন, তাঁর পরিচয় খোলসা করেননি ক্যাপ্টেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, “আমাকে বলা হয়েছিল, সিধুকে মন্ত্রিসভায় নিন। কাজ না করলে তখন না হয় বের করে দেবেন।”
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে কবে থেকে খুলবে স্কুল? ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী]
উল্লেখ্য, সিধুর কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন পর থেকে বর্ষীয়ান নেতা ক্যাপ্টেনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল কংগ্রেসের। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর পদও ছাড়তে হয় তাঁকে। বহু টানাপোড়েনের পর দল ছাড়েন অমরিন্দর। নতুন দল গড়েন তিনি। এবার পাঞ্জাব নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই করছেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ বিজেপির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন তিনি। একইসঙ্গে পাকিস্তানেরও তুমুল সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে সিধুর সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সিধু। সেই সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরেছিলেন তিনি। যা বিতর্কের আমদানি করে। এবার ফের পাক-প্রধানমন্ত্রীকে ‘বড় ভাই’ সম্বোধন করে বিতর্কে জড়িয়েছেন সিধু। এবার তাঁর সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে তোপ দাগলেন ক্যাপ্টেন।