shono
Advertisement

দেবী মহালক্ষ্মীর প্রসাদ বানাচ্ছে কয়েদিরা!

রোজ ৩০০০টি লাড্ডু তৈরি করতে হচ্ছে এই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের। তার জন্য দিনে ৪০-৫০ টাকা মতো পাওনা হচ্ছে তাদের। The post দেবী মহালক্ষ্মীর প্রসাদ বানাচ্ছে কয়েদিরা! appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:20 AM Jun 17, 2016Updated: 06:50 PM Jun 16, 2016

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপরাধকে অমার্জনীয় বলে কাউকে দূরে ঠেলে দেওয়ার মতো মানসিকতা মানুষের পৃথিবীতেই থাকে। যাঁরা এমন করেন, তাঁরাই সংখ্যায় বেশি!

Advertisement

কিন্তু, ঈশ্বর এবং তাঁর প্রকৃত ভক্তরা কখনই কোনও অপরাধকে অমার্জনীয় বলে মনে করেন না। সেই কথাই নতুন করে প্রমাণিত হল কোলাপুরের মহালক্ষ্মী মন্দিরে। ভারতের যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানে দেবীর প্রসাদ এখন বানাচ্ছে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিরা!
রোজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হচ্ছে ১৫ জন পুরুষ এবং ১৫ জন নারীর এই নতুন কাজ। চলছে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। সব জায়গায় যেমন ৮ ঘণ্টার কাজের দায়িত্ব থাকে, এখানেও তাই!
এই ৮ ঘণ্টায় ৬০/৪০ বর্গফুটের দু-ভাগে বিভক্ত একটি ঘরে চলছে মহালক্ষ্মীর মহাপ্রসাদ রন্ধনের আয়োজন। একটি অংশে পুরুষরা বেসন গুলে বোঁদে ভাজা, চিনির রস তৈরি করা, সেই বোঁদে রসে ভেজানো- এই দায়িত্ব সারছে। তার পর সেই গামলা ভর্তি বোঁদে পৌঁছে যাচ্ছে মহিলাদের কাছে। তারা সেই বোঁদে থেকে লাড্ডু তৈরি এবং তা প্যাকেটবন্দি করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করছে। কড়া পাহারার মাঝখানেই!
রোজ ৩০০০টি লাড্ডু তৈরি করতে হচ্ছে এই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের। তার জন্য দিনে ৪০-৫০ টাকা মতো পাওনা হচ্ছে তাদের।


চমকে ওঠার মতো ব্যাপার, সন্দেহ নেই! যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের দিয়ে অনেক কাজই করানো হয়। কিন্তু, দেবতার পূজায় এই প্রথম তাদের যুক্ত করা হল। করলেন, কোলাপুরের কালেক্টর অমিত সাইনি। অমিত অনেক দিন ধরেই যুক্ত ছিলেন পশ্চিম মহারাষ্ট্র দেবস্থান সমিতির সঙ্গে। এই সমিতিই কোলাপুরের মহালক্ষ্মী মন্দিরের পরিচালনার দিকটা দেখে। সমিতির প্রাক্তন প্রধান হিসেবে অমিতের মনে হয়, এভাবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের মন্দিরের কাজে যুক্ত করলে দুটো লাভ হবে। এক দিকে যেমন কয়েদিরা একটি ভাল কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে, তেমনই মন্দিরেরও উপকার হবে।
মন্দিরের উপকার?
ঠিক সেই কথাই জানিয়েছেন অমিত সাইনি। বলেছেন, দিন দিন মহালক্ষ্মী মন্দিরে দেবীর প্রসাদ হিসেবে যে লাড্ডু বিক্রি করা হত, তার গুণগত মান পড়ে যাচ্ছিল! যাঁরা এই লাড্ডু মন্দিরে পাঠাতেন তাঁরা ওজনে কম দিতেন, মিষ্টির গুণগত মানেও দেখা যাচ্ছিল খামতি। সেই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যই এভাবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের কাজে লাগানোর কথাটা তাঁর মাথায় আসে। তার পর মাসখানেক ধরে এই ৩০ জনকে বেছে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁরা শুরু করে দেবীর প্রসাদ রন্ধনের পালা।
এবার থেকে কি তাহলে এই কয়েদিরাই বানাবে দেবীর মহাপ্রসাদ?
”দেখা যাক! আপাতত তিন মাস এই ব্যবস্থাই চলবে। যদি প্রসাদের গুণগত মান ঠিক থাকে, অন্য কোনও সমস্যাও তৈরি না হয়, তবে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে”, জানিয়েছেন অমিত সাইনি।

The post দেবী মহালক্ষ্মীর প্রসাদ বানাচ্ছে কয়েদিরা! appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement