সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারেই চমক৷ বৃহস্পতিবার রাইসিনা হিলসের অঙ্গনে শপথ নেওয়া নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় এনডিএ সরকারে সবচেয়ে বড় চমকটি নিঃসন্দেহে এমন এক ব্যক্তি, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর যাঁর হাতে নিশ্চিন্তে বিদেশনীতির ছোট-বড় সিদ্ধান্ত, সমীকরণ তৈরির ভার ছেড়ে রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ সাফল্যের সঙ্গে যিনি বুদ্ধিমত্তা, স্থিতিশীলতা দিয়ে যে কোনও জটিল পরিস্থিতিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছেন৷ সজ্জন বলেও যিনি সুপরিচিত৷ সেই সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকর, প্রাক্তন বিদেশ সচিব এস জয়শংকর হিসেবে যিনি অধিক পরিচিত, এবার নামলেন অন্য ভূমিকায়৷ নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠতে চলেছেন জয়শংকর৷
[আরও পড়ুন: ১৮ সাংসদ নিয়েও মোদির মন্ত্রিসভায় ব্রাত্যই বাংলা]
২০১৫এ প্রথম মোদি সরকারের সময় জয়শংকরকে বিদেশ সচিব হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু ১৯৭৭ ব্যাচের এই আইএফএস অফিসারের কৃতিত্ব শুরু তার বহু আগে৷ দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ হয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শেষ করা জয়শংকরের বিদেশনীতি নিয়ে একেবারে কাজে নামা মস্কো থেকে৷ তারপর একে একে আমেরিকা, চিন, সিঙ্গাপুরের মতো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে একের পর এক সাফল্য কুড়িয়েছেন৷
মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেসময় জয়শংকর চিনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত৷ সেসময় তিনি নরেন্দ্র মোদিকে চিনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বেশ সাহায্য করেছিলেন বলে শোনা যায়৷ আর তাই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে মোদি তাঁকে ভোলেননি৷ তৎকালীন বিদেশসচিব সুজাতা সিংয়ের মেয়াদ কাটছাঁট করে সুব্রহ্মণ্যম জয়শংকরকে এনেছিলেন সেই পদে৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে তাঁর প্রখর কূটনৈতিক বুদ্ধির সদ্ব্যবহার করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ বিশেষত চিনের সঙ্গে দীর্ঘ বেশ খানিকটা সময়ের তিক্ততা মুছতে জয়শংকরের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, কাজের সুবাদে চিনা বিদেশনীতির খুঁটিনাটি যেমন তাঁর জানা, তেমনই তিনি সাবলীল সেখানকার মান্দারিন ভাষায়৷ ফলে সংযোগস্থাপনের কাজটি দ্রুত সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছিলেন৷
[আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব বণ্টনের আগে দেখে নিন মোদি মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
এহেন জয়শংকরকে নিজের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় এনে উপহার দিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ বৃহস্পতিবার রাইসিনা হিলসের শপথ মঞ্চে তাঁকে দেখেই সবটা বুঝে গিয়েছিল অভিজ্ঞমহল৷ সুষমা স্বরাজ সংসদীয় রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর ওই মন্ত্রক সামলানোর সম্ভবত যোগ্যতম ব্যক্তি জয়শংকরকেই মনে করছেন মোদি৷ ওয়াকিবহাল মহলের আরেকাংশের মত, বাণিজ্য মন্ত্রকের দায়িত্বও পেতে পারেন প্রাক্তন বিদেশসচিব৷ এই মুহূর্তে ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়ে জটিলতার জেরে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে৷ এই সংকট কাটাতে জয়শংকরকে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করছেন মোদি৷
The post চিনকে নজরে রেখেই সিদ্ধান্ত? চমক দিয়ে মন্ত্রিসভায় প্রবেশ জয়শংকরের appeared first on Sangbad Pratidin.