সংবাদ প্রতিদিন জিজিটাল ডেস্ক: ‘পুতিন ইজ মাই ফ্রেন্ড’। বহুবার বিশ্বমঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই ‘বন্ধু’ই ভারতে সফর এড়িয়ে গেলে কথা তো উঠবেই। এবং তা উঠছেও। অনেকেই বলছেন, আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দহরম মহরম বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়া ক্ষুব্ধ। এই প্রেক্ষাপটে কেন তিনি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন না, তা ফোনে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
৯-১০ সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। থাকবেন চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংও। কিন্তু পুতিন সেখানে যোগ দিতে আসবেন না বলে গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল ক্রেমলিন। সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ফোনে আনুষ্ঠানিক ভাবে সে কথা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোদিকে পুতিন জানিয়েছেন, তাঁর পরিবর্তে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সূত্রের খবর, সশরীরে হাজির না থাকলেও বন্ধু ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন পুতিন। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তোলার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে চুরি ২০০০ দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী, দায় স্বীকার জাদুঘর কর্তৃপক্ষের]
দিনদুয়েক আগেই, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভারতে না আসার বিষয়ে সিলমোহর দেয় ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “ভারতে যাওয়া নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোনও পরিকল্পনা নেই। আগামী মাসে জি-২০ সামিটে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন না তিনি। এই সম্মেলনে তিনি কীভাবে উপস্থিত থাকবেন সেই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই মুহূর্তে তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ সামরিক অভিযান।”
উল্লেখ্য, গত দেড় বছর ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। যার রফাসূত্র এখনও মেলেনি। এদিকে দু’দেশের লড়াইয়ে কিয়েভের পাশে রয়েছে ওয়াশিংটন। অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে মস্কোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জেলেনেস্কিকে সাহায্য করছে আমেরিকা। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে রাশিয়া। এদিকে, পুতিন ও বাইডেনের দু’জনের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। যত দিন যাচ্ছে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে ভারতের। এই প্রেক্ষাপটেই বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কই হয়ত ভাঙনের কারণ হতে পারে রাশিয়া-ভারতের মধ্যে।