shono
Advertisement

বন্যা বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুতে নেই মাথাগোঁজার ঠাঁই! এক রাতের হোটেল ভাড়া ৪০ হাজার

আরও ৫ দিনের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
Posted: 12:01 PM Sep 08, 2022Updated: 12:03 PM Sep 08, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, কারোর পৌষমাস তো কারোর সর্বনাশ। এই প্রবাদবাক্য যে কতটা সত্যি, এবার বন্যায় তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) বাসিন্দারা। তাদের বাড়ির ডুবেছে বন্যার (Bangaluru Flood) জলে। কারোর ঘরে আবার এক কোমর জল। ঘর-বাড়ি ছেড়ে মাথার গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে দ্বারস্থ হচ্ছেন হোটেলে। আর তাদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির হোটেল মালিক অসাধু ব্যবসা ফেঁদেছেন বলে অভিযোগ। বেঙ্গালুরুতে এক রাতের হোটেল ভাড়া দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এদিকে আরও ৫ দিনের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। সবমিলিয়ে চরম দুর্ভোগে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা।

Advertisement

গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলবন্দি বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন অঞ্চল। বিভিন্ন শহর থেকে সেখানে কাজ করতে যান যুবক-যুবতীরা। আবার পড়তেও যান অনেকে। ফ্ল্যাট ভাড়া করে একসঙ্গে থাকেন অনেকে। প্রবল বৃষ্টিতে তাদের নাজেহাল দশা। রাত কাটাতে তাঁদের আশ্রয় হোটেল। কিন্তু সেখানে ঘর নিতে গিয়েও তো মাথায় হাত। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক-এক রাতের জন্য হোটেলের একটি ঘরের ভাড়া কমপক্ষে ৩০-৪০ হাজার টাকা। কেউ যদি সেই টাকা গুনতে রাজিও থাকে তারপরেও তো ঘর মিলছে না। কারণ টানা ১০-১৫ দিনের জন্য বুক রয়েছে হোটেলের ঘর। এক প্রযুক্তি সংস্থার সিইও মীনা গিরিশবালা জানান, ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের একটি হোটেলে এক রাত থাকার জন্য ৪২ হাজার টাকা গুনেছেন।

[আরও পড়ুন: জন্মদিনেই পুড়ে ছাই বাগুইআটির অভিষেক, অগ্নিগর্ভ ওয়ার্ডে নিজের জন্মদিনে হুল্লোড় কাউন্সিলরের]

জানা গিয়েছে, হোয়াইটফিল্ড, আউটার রিং রোড, ওল্ড এয়ারপোর্ট রেড, কারমাংলা রোডের হোটেলগুলি পুরোপুরি ভরতি। একটানা ১০-১৫ দিনের জন্য ঘর বুক করে রাখা হয়েছে বলে জানাচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে ব্রুহাট বেঙ্গালুরু হোটেলিয়ারস অ্যাসোসিয়েশনর সভাপতি পি সি রাও জানান, কিছু হোটেল দুর্দিনের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘরভাড়ায় তারা ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

শহরের একাধিক হাউজিং সোসাইটিতে কোটিপতিদের বাস। যেমন ইয়ামেলুর, এপিসিলন। সেখানে থাকেন উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি, বাইজু রবীন্দ্রন এবং ব্রিটানিয়ার সিইও বরুণ বরুণ বেরি। সেই সোসাইটিও জলের তলায়। বোটে করে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে দুর্ভোগ এখনই শেষ হচ্ছে না। আগামী ৫ দিন বেঙ্গালুরুতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বাসিন্দাদের আগে থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদ! আধিকারিক পরিচয়ে অমিত শাহর কাছে ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement