গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: বিয়ের পণ ফ্রিজ দিতে না পারায় বধূকে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল বসিরহাট থানার পুলিশ।
বসিরহাট থানার ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানিতর গ্রামের ঘটনা। বাদুড়িয়া থানার নগরপুর গ্রামের বছর ২০এর আজমিরা ফিরদৌসির সঙ্গে বিয়ে হয় পানিতর গ্রামের বছর ২৪-এর শাহিনুর গাজির। তিনি পেশায় দর্জি। দু’বছর আগে বিয়ের সময় পণ চেয়েছিল শাহিনুরের পরিবার। সেই দাবি মিটিয়েও ছিল ফিরদৌসীর পরিবার। নগদ ৫০ হাজার টাকা, সোনার গয়না ও আসবাবপত্র-সহ একাধিক সামগ্রী দিয়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু ফ্রিজ দিতে পারেনি তারা।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতের গোপন চিঠিতে ব্রাত্যর নামে নালিশ? রাজ্যপালের জোড়া ‘পত্রবোমা’ ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]
এনিয়ে দু’বছর ধরে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল। এমনকী, ফিরদৌসিকে মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। এনিয়ে সালিশি সভা বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। ৬ মাস আগে তাঁদের পুত্রসন্তান হয়। তারপর পণের দাবিতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। অত্যাচারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিল স্বামী, শাশুড়ি ও শ্বশুর সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা, এমনই দাবি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজমিরার পরিবার অত্যন্ত দুঃস্থ। টাকা জোগার করে ফ্রিজ দিতে পারেনি বলে খবর। শনিবার সেই গণ্ডগোল চরম আকার ধারন করে। মৃত বধূর মা ফরিদা বিবির অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বধূর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। মৃতার কান ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধৃতদের শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। মৃতের পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।